নোয়াখালীতে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১০
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে যাত্রীবাহী বাস ও বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ দুজন নিহত হয়েছে। নিহতরা হলো জোসনা আক্তার (১১) ও নুরুল্ল্যাহ ফয়েজ। আহত হয়েছে কমপক্ষে ১০ জন।
নিহত জোসনা আক্তার জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে এবং নুরুল্ল্যাহ ফয়েজ একজন ব্যবসায়ী। তবে তার ঠিকানা জানা যায়নি।
আজ শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের নোয়াখালী টু ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের সরুরগো পোল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলো উপজেলার কাশিপুর গ্রামের আল আমিন (৮), জহুরা বেগম (৫৫), আবুল খায়ের (৬০), রিজভী (২৭), বেলাল হোসেন (৫৫), মনোয়ারা (৫৫) সহ অন্তত ১০ জন।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, বিকেল পৌনে ৪টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে বাঁধন পরিবহণের একটি বাস নোয়াখালীর সোনাপুরের দিকে যাচ্ছিল। নোয়াখালী- ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের বেগমগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের সরুরগো পোল এলাকায় পৌঁছালে বাসটি রং সাইডে ঢুকে পড়ে। এ সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটির সঙ্গে সোনাইমুড়ীর কাশিপুর থেকে ছেড়ে আসা বরযাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মাইক্রোবাসে থাকা শিশু জোসনা মারা যায়। এ সময় মাইক্রোবাসের আরও ১০ যাত্রী আহত হয়।
চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘দুর্ঘটনায় বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। আর এ কারণেই মাইক্রোবাসের যাত্রীরা বেশি হতাহত হয়েছে। বাসটিকে জব্দ করা গেলেও চালক পালিয়ে গেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’