নোয়াখালীতে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ৪৭ মামলা, জরিমানা ৩৬ হাজার
নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে লকডাউনের দ্বিতীয় দিন চলছে। লকডাউনের বিধিনিষেধ মানাতে এসব এলাকায় জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় লকডাউন অমান্য, মাস্ক পরিধান না করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মোট ৪৭টি মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া তাৎক্ষণিক ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. খোরশেদ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য জেলা প্রশাসনের নির্দেশে গতকাল শনিবার থেকে নোয়াখালী সদর পৌরসভা ও তার আশপাশের ছয়টি ইউনিয়নে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। আগামী ১১ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত এ লকডাউন বলবৎ থাকবে।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভায় গত শুক্রবার বিকেলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় জানানো হয়, নোয়াখালীতে গত কয়েক সপ্তাহে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নোয়াখালী পৌরসভার সবকটি ওয়ার্ড ও সদর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে লকডাউন চলবে। ইউনিয়নগুলো হলো নোয়ান্নই, কাদির হানিফ, বিনোদপুর, নোয়াখালী, অশ্বদিয়া ও নেয়াজপুর। এসব ইউনিয়নের অভ্যন্তরে সব ধরনের দোকানপাট ও যানবাহন বন্ধ থাকবে। বাইরের কোনো এলাকা থেকে পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়া কোনো যানবাহন এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান বলেন, লকডাউন চলাকালে পৌরসভা এলাকায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিত যানবাহন লকডাউনের আওতায় থাকবে না। জেলা শহরের সোনাপুর বাসস্ট্যান্ড সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। তবে পৌরসভার বাইরের এলাকা থেকে দূরপাল্লার গাড়ি যাত্রী পরিবহণ করতে পারবে।