নৌযান চলাচল শুরু
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে এক দিন বন্ধ থাকার পর সব ধরনের নৌযান চলাচলের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচলে অনুমতি মেলে। এর আগে, ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুতি এবং পরবর্তী করণীয়র জন্য বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সকল কর্মকর্তা-কর্মচারির ছুটি বাতিল করা হয়। সেই সঙ্গে উদ্ধারকারী নৌযানগুলো সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছিল।
গতকাল সোমবার এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারির ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া সমুদ্রে যে সকল জাহাজ যেখানে অবস্থান করছে, সেখান থেকে না সরতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে বলা হয়।
এদিকে, উপকূলে আঘাত হেনে ধীরে ধীরে শক্তি কমে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এখন রূপ নিয়েছে নিম্নচাপে। মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করেছে। এতে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে বিপৎসংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ে ছয় জেলায় ১১ জন নিহতের তথ্য পাওয়া গেছে।
গতকাল সোমবার দিনগত রাতে প্রকাশিত আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে স্থল নিম্নচাপ আকারে ঢাকা–কুমিল্লা–ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছে। রাতেই ঘূর্ণিঝড়টি সিলেট হয়ে ভারতে প্রবেশ করবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল ছেড়ে এলেও এখনো উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য রয়েছে। মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে সাত নম্বর বিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।