নড়াইলে তরুণের মৃত্যুতে ঘরবাড়ি ভাঙচুর, থমথমে এলাকা
নড়াইলে জুয়েল ভূঁইয়াকে (১৮) হাতুড়িপেটার পাঁচ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনায় ঘরবাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০টি বাড়ি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে ছুড়তে হয়েছে ছয় রাউন্ড রাবার বুলেট। গতকাল শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে মারা যান জুয়েল। তিনি বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের কর্মচন্দ্রপুর গ্রামের পান্নু ভূঁইয়ার ছেলে। তাঁর মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় পৌঁছানোর পরপরই অভিযুক্তদের বাড়িতে ঘটে হামলার ঘটনা।
এ বিষয়ে বাঁশগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ফকির বলেন, ‘ভাঙচুরের ঘটনা শুনে আমি ঘটনাস্থলে যাই। প্রায় ২০টি বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান বলেছেন, বিক্ষুব্ধ লোকজন কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করেছ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ছয় রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়েছে পুলিশ। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় ১২ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত।
ওসি আরও বলেন, ‘এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া জুয়েলকে জখমের মামলা এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। জুয়েলকে জখমের মামলায় আগেই একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি কারাগারে আছেন। বাকি চারজন জামিনে মুক্ত রয়েছেন।’
এর আগে জুয়েলের চাচাতো ভাই আল আমিন জানিয়েছিলেন, কর্মচন্দ্রপুর গ্রামে সিকদার ও ভূঁইয়া বংশের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। জুয়েল বাড়ির পাশের মাদ্রাসা বাজারে একটি দোকানের কর্মচারি হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিনের মতো গত সোমবার সকাল ৯টার দিকে বাড়ি থেকে ভ্যানযোগে দোকানে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বেদভিটায় পৌঁছালে কর্মচন্দ্রপুর গ্রামের ছয়জন জুয়েলকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায়, বুকে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে।
এ ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে জুয়েলের চাচা মান্নান ভূঁইয়া মামলা করেন।