পঞ্চগড়ের বোদায় নৌকাডুবির ৪৫ দিন পর মরদেহ উদ্ধার
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের করতোয়া নদীর আউলিয়ার ঘাটে নৌকাডুবির ৪৫ দিন পর ভূপেন্দ্রনাথ রায় ওরফে পানিয়ার (৪২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে নৌকাডুবির স্থানে নদীর তলদেশের বালুর নিচে চাপা পড়ে থাকা অর্ধগলিত অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে এলাকাবাসী। এ নিয়ে নৌকাডুবির ঘটনায় ৭০ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় আরও দুজন নিখোঁজ রয়েছে।
ভূপেন্দ্রনাথের বাড়ি জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার শালডাঙ্গা ইউনিয়নের ছত্রশিকারপুর হাতিডুবা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মদন রায়ের ছেলে।
খবর পেয়ে বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বহ্নিশিখা আশা, বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায়, মাড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু আনছার মো. রেজাউল করিম শামীমসহ স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে যান।
ভূপেন্দ্রনাথের ছেলে দীপন বলেন, ‘বাবা ভূপেন্দ্রনাথ, মা রূপালী রাণী ও ছোট ভাই দীপু নৌকায় মহালয়ার অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। ভাগ্যক্রমে ছোট ভাই দিপু বেঁচে যায়। মা রূপালী রাণীর মরদেহ পাওয়া গিয়েছিল। আজ ৪৫ দিন পর বাবার মরদেহ খুঁজে পাওয়া গেছে।’
মাড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু আনছার মো. রেজাউল করিম শামীম বলেন, ‘এলাকাবাসী করতোয়া নদীর আউলিয়া ঘাট এলাকার নৌকাডুবি স্থানে নদীর তলদেশ থেকে নুড়ি পাথর উত্তোলনের সময় একজনের অর্ধগলিত মরদেহ বের হয়। পরে নিখোঁজদের পরিবারসহ আমাদের বিষয়টি জানায়। পরনের কাপড় দেখে মরদেহটি ভূপেন্দ্রনাথের বলে নিশ্চিত হয় পরিবার।’
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া মরদেহটি নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ভূপেন্দ্রনাথ বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। পরনের কাপড় ও মোবাইল দেখে পরিবারের লোকজন নিশ্চিত করেছে। মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর বদেশ্বরী মন্দিরে মহালয়া অনুষ্ঠানে অংশ নিতে করতোয়া নদীর আউলিয়ার ঘাটে পার হওয়ার সময় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৬৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ভূপেন্দ্রনাথ রায় ওরফে পানিয়াসহ তিনজন নিখোঁজ ছিলেন।