পদ্মা সেতু জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে কৃষি, যোগাযোগ ব্যবস্থা, বাণিজ্য, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আইসিটিসহ প্রতিটি খাতে অভাবনীয় উন্নতি সাধিত হয়েছে, যা সারা পৃথিবীতে প্রশংসিত ও নন্দিত হচ্ছে। তবে, সব উন্নয়নের মধ্যে স্বাধীনতার পরে যে অর্জনটি সবচেয়ে বড় ও লক্ষণীয়, তা হলো পদ্মা সেতু। সব দিক বিবেচনায় উন্নয়নের ক্ষেত্রে স্বাধীনতার পর জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন এটি।
টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে আজ শুক্রবার এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর সহচর ভাষা সৈনিক মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুলের একুশে পদক (মরণোত্তর) প্রাপ্তিতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ এ স্মরণসভার আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু জাতির স্বপ্নের সেতু, গর্বের সেতু, অহংকারের সেতু। ২৫ তারিখে এটির উদ্বোধন হবে, সেদিন সারা জাতি আনন্দে মেতে উঠবে। এ মহোৎসবকে কেউ যদি ষড়যন্ত্র করে বানচাল করতে চায়, তাদেরকে কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে। কোনো অপশক্তিই পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের আনন্দকে ব্যাহত করতে পারবে না।’
পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের কৃষিতেও বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘যশোরের ফুল, সাতক্ষীরার আমসহ দক্ষিণাঞ্চলে উৎপাদিত শাকসবজি, ফলমূল সহজেই ঢাকা আসতে পারবে। ঐসব অঞ্চলে কৃষি প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। এর ফলে স্থানীয় পর্যায়ে বাজার তৈরির পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানিও হবে।’
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় খুবই সক্ষম। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠু হয়েছে। শুধু হার-জিত দেখলে হবে না। দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে, অল্প ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জিতেছে-এদিকগুলোও বিবেচনা করতে হবে। সব মিলিয়ে নির্বাচন সুন্দর হয়েছে।’
স্মরণসভায় টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুকের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম, সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেন, পৌর মেয়র সিরাজুল হক আলমগীর প্রমুখ বক্তব্য দেন।