পরকীয়া সন্দেহের জেরে স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যা করে দুলাল, দাবি পুলিশের
কক্সবাজার শহরের সী আলিফ হোটেলে এক মা ও শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। সেই ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি করছে তারা। তারা বলেছে, পরকীয়ার সন্দেহের জেরে পরিকল্পিতভাবে স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যা করেছেন স্বামী। এ ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকারও করেছে।
আজ শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে কক্সবাজার সদর থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃত দুলাল বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের বানীগ্রামের দুলাল বিশ্বাসের ছেলে। নিহত সুমা দে বাঁশখালী উপজেলার নাথপুরা এলাকার শচীন্দ্র দের মেয়ে। নিহত শিশু ওই দম্পতির ছোট মেয়ে।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তিন মাস আগে ওমান যান দুলাল। গত ৫ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরেন তিনি। নানা কারণে স্ত্রীকে সন্দেহ করেন ওই স্বামী। এমনকি, তাদের ছোট মেয়ের পিতৃত্ব নিয়ে সন্দেহ হয় দুলালের। এর জেরে পরিকল্পিতভাবে মা ও মেয়েকে হত্যা করেন তিনি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজের দোষ স্বীকার করেছেন দুলাল। এ ঘটনায় নিহত সমার মামা একটি মামলা করেছেন।’
পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে বড় দুই মেয়েকে নাস্তার কথা বলে হোটেলের নিচে আনেন দুলাল। পরে হোটেল কক্ষে গিয়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এ ছাড়া এক বছর বয়সী মেয়েকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেন। এরপর দুই মেয়েকে নিয়ে সেখান থেকে সটকে পড়েন।’
তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দুলালকে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়ে বলে জানিয়েছেন মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর তাকে কক্সবাজার আনা হয়।’
দুলালের গ্রেপ্তারের বিষয়টি আগে থেকেই নিশ্চিত করেছিলেন চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রহিম। চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন মার্শা পরিবহন সার্ভিসের কাউন্টারের সামনে থেকে দুলালকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
এদিকে, সুমার কোনো নিকটাত্মীয় নেই বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, ‘দুলালের খালাতো বোনের স্বামী সৈকত দাশ ময়নাতদন্ত শেষে দুজনের মরদেহ গ্রহণ করেছেন। নিহত সুমা দেবের দুই কন্যা বর্তমানে পুলিশ হেফাজত রয়েছে। তাদের সঙ্গে তাদের দাদিও রয়েছে।’