পরনির্ভরতা কমাতে কৃষি প্রণোদনার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ : খাদ্যমন্ত্রী
নিজেদের প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে পরনির্ভরতা কমাতে সরকারি প্রণোদনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি প্রণোদনা নিয়ে চাষাবাদ বাড়াতে কৃষকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
আজ নওগাঁর পোরশা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন প্রাঙ্গণে রবি ২০২১-২২ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় তিন হাজার ৫২০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, খেসারি চিনাবাদাম, মুগ ডাল ও পেঁয়াজ বীজ এবং রাসায়নিক সার বিতরণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাজারে প্রায়ই যেসব পণ্যের দাম বাড়ে, সেগুলো আমাদের দেশে কম উৎপাদন হয়। পরনির্ভরতার কারণে সেসব পণ্য আমদানি করতে হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে, দেশেও দাম বাড়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটি অনেক উর্বর। এখানে যা ফলাতে চান তাই ফলবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে তেলের দাম কম হওয়ায় পাচার হয়ে যেত।’ আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দেশে ডিজেলের দাম বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে
মন্ত্রী বলেন, এতে কৃষক কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কৃষকবান্ধব সরকার কৃষককে প্রণোদনার মাধ্যমে সে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সাহায্য করবে।
সাধন চন্দ্র আরও বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতির বাংলাদেশ তিন স্তম্ভের ওপর দাড়িয়ে আছে। এগুলো হলো কৃষি খাত, গার্মেন্টস খাত এবং প্রবাসীদের রেমিটেন্স। এ সেক্টরগুলো শক্তিশালী হওয়ার কারণে করোনাকালে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দায় পতিত হলেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ছিল শক্তিশালী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজমুল আহমেদ রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষিবিদ সঞ্জয় কুমার সরকার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে এক হাজার ৪০০ কৃষকের মধ্যে গম, ২০০ কৃষকের মধ্যে ভুট্টা, দেড় হাজার কৃষকের মধ্যে সরিষা, ১০০ জন কৃষকের মধ্যে সূর্যমুখী, দেড়শ কৃষকের মধ্যে মশুর, ১০০ কৃষকের মধ্যে খেসারি, ২০ জন কৃষকের মধ্যে চিনাবাদাম, ৩০ জন কৃষকের মধ্যে মুগ এবং ২০ জন কৃষকের মধ্যে পেয়াজ বীজ বিতরণ করা হয়।