পরাজিত প্রার্থীর সমর্থককে চুড়ি পরানোর অভিযোগ আ.লীগনেতার বিরুদ্ধে
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকের বাড়িতে গিয়ে জোর করে চুরি পরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মোশারেফ শেখ।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মোশারেফ শেখ জানান, গত শনিবার ইউপি নির্বাচনে কচুয়া সদর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী প্রার্থী সেলিনা বেগম হেরে যাওয়ার পর গতকাল সোমবার বিকেলে বিজয়ী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা গিমটাকাঠি গ্রামের তার বাড়িতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটান।
এ সময় মোশারেফ শেখ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
লিখিত বক্তব্যে মোশারেফ শেখ জানান, তিনি কচুয়া সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি। গত ২০ নভেম্বর কচুয়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে তিনি ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য পদপ্রার্থী ও সাবেক সদস্য সেলিনা বেগমের কর্মী-সমর্থক হিসেবে কাজ করেন। কিন্তু সেলিনা বেগম নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় বিজয়ী প্রার্থী মোহিনী বেগমের সমর্থক কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক বালী শোকরানা রব্বানি আজাদ ওরফে আজাদ বালি ও তার সমর্থকরা মোশারেফকে হুমকি-ধমকি অব্যাহত রাখেন। গতকাল বিকেলে আজাদ বালি, ইকতিয়ার হোসেন, শহিদুল শেখসহ ১৫ থেকে ২০ জন লোক তার বাড়িতে গিয়ে হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে তার স্ত্রী, পুত্রবধূসহ এলাকাবাসীর সামনে জোর করে আজাদ বালির উপস্থিতিতে ইকতিয়ার হোসেন তার হাতে চুড়ি পরিয়ে দেন। এরপর ঘটনা জানাজানি হওয়ায় গ্রামের লোকজন চুড়িপড়া লোক হিসেবে মোশারফকে দেখতে তার বাড়িতে ভিড় জমাতে থাকে। ৭১ বছর বয়সে এমন অপমান অসহ্য উল্লেখ করে তিনি প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন।
লিখিত বক্তব্যে মোশারেফ শেখ আরও বলেন, শুধু তাকে অপমান করেই তারা থামেনি, আজ আজাদ বালি ও তার লোকজন গ্রামের সাহাপাড়া এলাকার খোকন সাহা, পলাশী রানী সাহা ও সুশান্তকে মারধর করেন। তাদের অপরাধও এক। তারাও ছিলেন পরাজিত প্রার্থী সেলিনা বেগমের সমর্থক।
এ বিষয়ে কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক বালি শোকরানা রব্বানি আজাদ বলেন, ‘এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা আমার নির্দেশে ঘটেনি।’
তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই নাটক সাজানো হয়েছে বলেও দাবি করেন আজাদ বালি।