পরিবহণ ধর্মঘটে বেনাপোলে শত শত যাত্রী আটকা
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাস ও ট্রাকমালিক সমিতির ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে বেনাপোলে আটকা পড়েছে শত শত ভারতফেরত পাসপোর্ট যাত্রীরা।
আজ শুক্রবার বেনাপোল থেকে দূরপাল্লার কোনো পরিবহণ ছেড়ে যায়নি। পণ্যবাহী ট্রাকসহ দূরপাল্লার সব ধরনের গণপরিবহণ বন্ধ রয়েছে। ফলে বিপাকে পড়ে অনেকে পরিবহণ কাউন্টার অথবা আবাসিক হোটেলে অবস্থান করছে। অনেকে আবার বিকল্প পথে অধিক ভাড়া গুনে গন্তব্যে যাচ্ছে বলে জানান শ্যামলী পরিবহণের ম্যানেজার বাবলুর রহমান।
হঠাৎ করে গণপরিবহণ বন্ধ হওয়ায় বেশি বিপাকে পড়েছে ভারতফেরত পাসপোর্ট যাত্রীরা। তারা অতিরিক্ত টাকা খরচ করে ইজিবাইক, রিকশা, ভ্যান ও ট্যাক্সি ভাড়া করে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। অনেকে আবার ভারতে চিকিৎসা করে আসায় টাকা না থাকায় পরিবহণ কাউন্টারেই অবস্থান করছে।
ভারতফেরত যাত্রী গোপালগঞ্জের জয়ন্তি তালুকদার ও সুরেশ তাদুকদার বলেন, ‘আমরা ভারতে গিয়েছিলাম চিকিৎসা করাতে। আজ বাংলাদেশে ফিরে আসার পর জানতে পারি পরিবহণ ধর্মঘট চলছে। এখন কীভাবে বাড়ি যাব বুঝতে পারছি না। টাকাও বেশি নেই যে ট্যাক্সি রিজার্ভ করে যাব। এজন্য কাউন্টারে বসে আছি। অপেক্ষা, কখন প্রত্যাহার হবে ধর্মঘট।’
আজ সকালে যশোর জেলা পরিবহণ সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আজিজুল আলম মিন্টু জানান, ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটার ১৫ টাকা বৃদ্ধি করায় বৃহস্পতিবার রাতে যশোরে মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
ফলে আজ সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গ থেকে কোনো গণপরিবহণ বা পণ্যবাহী ট্রাক ছেড়ে যায়নি। এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘ডিজেলের মূল্য পুনর্বিবেচনা এবং বাস ভাড়া না বাড়ানো পর্যন্ত তাদের এ আন্দোলন চলবে।’
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবর রহমান জানান, এখন যাত্রী অনেক কম। বাংলাদেশে ধর্মঘট হলেও সকাল থেকে ভারতফেরত যাত্রীরা দেশে আসছে। সকাল থেকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দুপুর পর্যন্ত ৩৮০ জন যাত্রী দেশে ফিরেছেন। বাস ধর্মঘটের কারণে ফিরে আসা যাত্রীদের কেউ বিকল্প পথে গন্তব্যে যাচ্ছে আবার কেউ পরিবহণ কাউন্টারে অবস্থান করছে।’