পরী মণিকে দেখতে কারা ফটকে ভিড়, ফিরল হতাশ হয়ে
গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন চিত্রনায়িকা পরী মণি-এ খবরে প্রিয় নায়িকাকে একনজর দেখতে কারা ফটকের সামনে ভিড় করে ভক্ত সাধারণ। সেইসঙ্গে জড়ো হতে থাকেন সংবাদকর্মীরাও। তারা অপেক্ষা করতে থাকে কখন মুক্তি পেয়ে এই ফটক দিয়ে বের হবেন আর তারা শুধু এক নজর দেখবে। কিন্তু ভক্তদের হতাশ হতে হয়। খবর আসে জামিন পেলেও মুক্তির জন্য কাগজপত্র এখনও আদালত থেকে কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছেনি। ভক্তদের চোখে মুখে হতাশার চিহ্ন ফুটে ওঠে। অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার পর বাড়ি ফিরে যান ভক্তরা।
কারা সূত্র জানায়, চিত্রনায়িকা পরীর মণি জামিন সংক্রান্ত কাগজপত্র যথাসময়ে আদালত থেকে কারাগারে না পৌঁছানোয় আজ মঙ্গলবার তাকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি।
আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার হালিমা খাতুন।
জেলা সুপার হালিমা খাতুন বলেন, ‘রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত পরী মণির জামিনের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছায়নি। সাধারণত সন্ধ্যায় সূর্য অস্ত যাওর সঙ্গে সঙ্গেই কারাগারের বন্দিদের ‘লকআপ’ করা হয়। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জামিনের কাগজপত্র কারাগারে না পৌঁছায় পরি মণিকে আজ কারামুক্ত করা যায়নি। তবে রাতে তার জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছালে তা যাচাই-বাছাই শেষে আগামীকাল বুধবার সকালে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে।’
এর আগে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ পরী মণির জামিনের আদেশ দেন।
গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরী মণি ও তাঁর সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় পরী মণির বাসা থেকে বিভিন্ন মাদক জব্দ করা হয়। পরদিন ৫ আগস্ট র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরী মণি ও তাঁর সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে।
এই মামলায় তিন দফায় রিমান্ড শেষে গত ২১ আগস্ট আদালতের নির্দেশে পরী মণিকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরদিন গত ২২ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে পরী মণির জামিন আবেদন করেন আইনজীবী মজিবুর রহমান। পরে আদালত জামিন বিষয়ে শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
১৩ সেপ্টেম্বর জামিন শুনানির দিন ধার্য করার আদালতের সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক দাবি করে গত বুধবার হাইকোর্টে আবেদন করেন পরী মণি। পরদিন বৃহস্পতিবার পরী মণির নিম্ন আদালতে জামিন আবেদন অবিলম্বে শুনানি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর নিম্ন আদালত জামিন শুনানির যে দিন নির্ধারণ করেছিলেন, তা কেন বাতিল করা হবে না মর্মে রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।