পরী মণির বাসা থেকে জব্দ গাড়ির মালিকানা যাচাইয়ের নির্দেশ
পরী মণিকে গ্রেপ্তারের সময় তাঁর বাসা থেকে জব্দ করা গাড়ির মালিকানা যাচাই করতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার এই আদেশ দেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী বলেন, আজ সকালে পরী মণির জব্দ করা সাদা রঙের গাড়িটি নিজের জিম্মায় নেওয়ার জন্য আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক বিআরটিকে এ বিষয়ে মালিকানা সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
শুনানিতে পরী মণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত বলেন, পরী মণির সাদা রঙের গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে। গাড়ির ভেতর মালিকানাসংক্রান্ত কাগজপত্র ছিল। গাড়িটি নিয়ে যাওয়ায় কোনো কাগজপত্র পরী মণির কাছে নেই। এ জন্য গাড়ির মালিকানাসংক্রান্ত কাগজপত্র আদালতে জমা দেওয়া সম্ভব হয়নি।
আইনজীবী আরও বলেন, গ্রেপ্তারের সময় পরী মণির আইপ্যাড, মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য জিনিসপত্রও জব্দ করা হয়েছে। এসব প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র না থাকায় পরী মণি এখন নানান সমস্যায় পড়ছেন। বিশেষ করে গাড়ি না থাকায় তিনি নিরাপত্তা ও হুমকির মধ্যে আছেন। মানবিক কারণে যেকোনো শর্তে তাঁর জব্দ করা গাড়িটা ফেরত দেওয়া হোক।
এরপরে পরী মণির আবেদনের বিপক্ষে সরকারি কৌঁসুলি হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ বলেন, ‘মাননীয় আদালত, গাড়ির মালিকানা যাচাই ছাড়া জিম্মায় কীভাবে দেওয়া সম্ভব। যেহেতু পরী মণি ও তাঁর আইনজীবী বলছেন, গাড়িসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের মালিকানার কাগজপত্র নেই, তাই তাঁর আবেদন নাকচ করা হোক।’
এর আগে পরী মণি আজ সকাল সাড়ে ১০টার পর আদালত চত্বরে আসেন। জামিন পাওয়ার পর আজ বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রথম হাজিরা দেন পরী মণি। এ ছাড়া পরী মণিকে গ্রেপ্তারের পরে পুলিশ কিছু জিনিস জব্দ করেছিল। পরী মণি সেগুলো নিজের জিম্মায় নেওয়ার জন্যও আবেদন করেন।
গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরী মণি ও তাঁর সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় পরী মণির বাসা থেকে বিভিন্ন মাদক জব্দ করা হয়। পরদিন ৫ আগস্ট র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরী মণি ও তাঁর সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে।
এরপর গত ৩১ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত পরী মণিকে জামিন দেন। পরের দিন তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত পান।