পরী মণির মামলায় জামিন পেলেন নাসির-অমি
ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাভার থানায় চিত্রনায়িকা পরী মণির করা মামলায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ এবং তুহিন সিদ্দিকী অমি জামিন পেয়েছেন।
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯-এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন আজ বুধবার এ আদেশ দেন। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মোহাম্মদ ঢালি এ তথ্য এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।
কৌঁসুলি মোহাম্মদ ঢালি বলেন, ‘আজ এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। এদিন পরী মণি আদালতে উপস্থিত হয়ে অভিযোগপত্রের ওপর নারাজি দেন। নারাজির আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারক এ বিষয়ে পরে আদেশ দেবেন বলে নির্ধারণ করেছেন।
এর আগে ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামাল হোসেন।
ওই দিন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) আনোয়ারুল বাবুল এনটিভি অনলাইনকে বলেছিলেন, ‘অভিযোগপত্রে পুলিশ বলেছে, বোট ক্লাবে আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও শাহ শহিদুল আলম চিত্রনায়িকা পরী মণির সঙ্গে অশ্লীল ভাষায় কথা বলাসহ অশ্লীল আচরণ করেন। এ সময় তাঁরা পরী মণিকে মারধর করে হুমকি দেন। আসামিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারাসহ পেনাল কোডের ৩২৩/৫০৬ অপরাধ প্রমাণ হয়েছে। এ ছাড়া মামলার এজহারনামীয় আসামি তুহিন সিদ্দিকী অমি চিত্রনায়িকা পরী মণিকে কৌশলে বোট ক্লাবে ডেকে নিয়ে যান। এরপর সেখানে পরীর সঙ্গে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটায় অমির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৩০ ধারায় অমির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হলো।’
এদিকে, মামলার পর নানা ঘটনা প্রবাহে বাদী পরী মণি নিজেই আসামি হয়ে যান। গত ৪ আগস্ট পরী মণিকে তাঁর বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করে র্যাব। পরদিন তাঁকে বনানী থানায় সোপর্দ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে র্যাব। এরপর ওই মামলায় পরী মণিকে তিন দফায় রিমান্ডে নেয় পুলিশ। আদালতে জামিন পেয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের কাশিমপুরের মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পান পরী মণি।