পরী মণির মামলায় নাসির-অমিসহ ৩ জনের বিচার শুরু
ঢাকা বোট ক্লাবে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে সাভার থানায় চিত্রনায়িকা পরী মণির করা মামলায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিনের আদালত এ অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। বিচারক অভিযোগ শেষে আগামী ১ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।
২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নাসিরসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগত্র দাখিল করেন। এরপর মামলাটি বিচারের জন্য নারী ও শিশু আদালতে বদলি হয়ে আসে।
অভিযোগপত্রে পুলিশ বলেছে, বোট ক্লাবে আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও শাহ শহিদুল আলম চিত্রনায়িকা পরী মণির সঙ্গে অশ্লীল ভাষায় কথা বলাসহ অশ্লীল আচরণ করেন। এ সময় তাঁরা পরী মণিকে মারধর করে হুমকি দেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারাসহ পেনাল কোডের ৩২৩/৫০৬ অপরাধ প্রমাণিত।
অভিযোগপত্রে পুলিশ আরও বলেছে, এ ছাড়া মামলার এজহারনামীয় আসামি তুহিন সিদ্দিকী অমি চিত্রনায়িকা পরী মণিকে কৌশলে বোট ক্লাবে ডেকে নিয়ে যান। এরপর সেখানে পরীর সঙ্গে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটায় অমির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাই, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৩০ ধারায় অমির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
এদিকে, মামলার পর নানা ঘটনা প্রবাহে বাদী পরী মণি নিজেই আসামি হয়ে যান। গত বছরের ৪ আগস্ট পরী মণিকে তাঁর বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করে র্যাব।
পরদিন পরী মণিকে বনানী থানায় সোপর্দ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে র্যাব। এরপর ওই মামলায় পরী মণিকে তিন দফায় রিমান্ডে নেয় পুলিশ। আদালতে জামিন পেয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের কাশিমপুরের মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পান পরী মণি। বর্তমানে মামলাটির বিচারকাজ চলছে।