পরী-রাজ-পিয়াসা-হেলেনার মামলার তদন্তকাজ প্রায় গুছিয়ে এনেছে সিআইডি
চিত্রনায়িকা পরী মণি, প্রযোজক মো. নজরুল ইসলাম রাজ, ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা, হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ আলোচিত ১৫টি মামলার তদন্ত কাজ প্রায় গুছিয়ে এনেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির দাবি, আগামী এক থেকে দুই মাসের মধ্যেই মামলাগুলোর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া সম্ভব হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ও সিআইডি প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান।
ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘পরী মণি, রাজ, পিয়াসা, হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ এ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে করা ১৫টি মামলা এখনও তদন্তাধীন রয়েছে। আমরা মামলার তদন্তকাজ অনেকখানি গুছিয়ে এনেছি। কিছু ফরেনসিক এখনও বাকি আছে। সবকিছু হাতে এলে আমরা এক থেকে দুই মাসের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া শুরু করতে পারব।’
সিআইডি প্রধান বলেন, ‘অভিযুক্ত ছাড়াও তদন্ত সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যাদের ডাকা প্রয়োজন, আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আপাতত আর কাউকে ডাকার পরিকল্পনা নেই।’
চিত্রনায়িকা পরী মণিকে একাধিকবার রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়ে ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রথমবার আমরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করিনি। দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। পরে কিন্তু তাঁকে আর রিমান্ড চাওয়া হয়নি। তবে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া কিছু তথ্য মেলানোর প্রয়োজন ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তাঁকে আবারও রিমান্ডে চাই। সিআইডি প্রতিবেদন দেওয়ার বিষয়ে ভুলের ঊর্ধ্বে থাকতে চায়। তাই তদন্তের প্রয়োজনেই সব করা হচ্ছে।’
ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আর্থিক অপরাধের বিষয়ে তদন্তে যাদের নাম এসেছে তাদের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আমরা তথ্য চেয়েছি। তদন্তের প্রয়োজনে আমরা এখনই সব বলতে চাচ্ছি না।’
গত ৪ আগস্ট পরী মণিকে তাঁর বনানীর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। একই দিন প্রযোজক নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত ২৯ জুলাই গুলশানের বাসা থেকে আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে বিদেশি মদসহ গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর ১ আগস্ট বারিধারা ও মোহাম্মদপুরে অভিযান চালিয়ে কথিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা এবং মরিয়ম আক্তার মৌকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে শরিফুল হাসান ও মাসুদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এসব আসামির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে চিত্র নায়িকা পরী মণিসহ অন্য আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। তাদের মধ্যে ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা, হেলেনা জাহাঙ্গীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।