পরী-রাজ-হেলেনাদের বিরুদ্ধে ১০ মামলার তদন্তভার চেয়ে র্যাবের চিঠি
চিত্রনায়িকা পরী মণি, প্রযোজক মো. নজরুল ইসলাম রাজ, ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীর, জিসান ও মিশু হাসানের বাসায় অভিযানের ঘটনায় করা ১০ মামলার তদন্তভার চেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে চিঠি দিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গতকাল রোববার র্যাবের পক্ষ থেকে এই চিঠি দেওয়া হয়।
সোমবার বিকেলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানান।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘পরী মণি, নজরুল ইসলাম রাজ, জিসান, মিশু হাসান ও হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে দায়ের করা ১০ মামলার তদন্তভার চেয়ে আমরা পুলিশ সদর দপ্তরে চিঠি দিয়েছি। গতকাল এই চিঠি দেওয়া হয়।’
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র্যাব সদর দপ্তরে সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল কে এম আজাদ এনটিভি অনলাইনকে বলেছিলেন, ‘আমরা পরী মণি ও রাজসহ এ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধ তথ্য পাচ্ছি। সেগুলো যাচাই-বাছাই চলছে।’
পরী মণি ও নজরুল রাজের বাসায় চালানো এই অভিযানের রেশ সামনের দিকে যাবে কি না, এমন প্রশ্নে কর্নেল কে এম আজাদ বলেন, ‘কাজ তো করছি; দেখি কী হয়। বিভিন্ন ইস্যুতে কাজ করছি। এ ধরনের অপারেশনগুলো প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে করা হলো। তাদের (পরী মণি-রাজ) ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্য পাচ্ছি। কিন্তু হঠাৎ করে তো তথ্যের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়া যায় না। যাচাই-বাছাই করে দেখতে হবে। তাই করা হচ্ছে। কাজের পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে তখন দেখা যাবে।’
পরী মণি ও রাজের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলার তদন্ত করার পরিকল্পনা আছে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে কে এম আজাদ বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা আছে। আমরা আমাদের আরও ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলি। তারপর যদি আমাদের তদন্ত করার সুযোগ থাকে, আমরা চেষ্টা করব।’
রাজ ছাড়া এ সিন্ডিকেটের আর কোনো পৃষ্ঠপোষক আছে কি না- এমন প্রশ্নে কে এম আজাদ বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য আসছে। আমরা তথ্য যাচাই-বাছাই করছি। যাচাই-বাছাইয়ের আগে তো নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। কিন্তু জানবেন আপনারা। আপনাদেরকে আগামীতে জানানো হবে। একটা সিন্ডিকেট বা একটি সোসাইটি তো একজন-দুজনকে নিয়ে গঠিত হয় না। কম-বেশি কারো ইনভলভমেন্ট থাকতেই পারে।’
‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলার পর থেকে মাদক নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে আমাদের মেইন টার্গেট। মাদক ব্যবসা ও ব্যবহারকারীদের সঙ্গে যারা ডিরেক্টলি এবং ইনডিরেক্টলি জড়িত তাদেরকে নিয়েই আমাদের কাজ। আপনারা অতীতেও দেখেছেন মাদক ব্যবসায়ী ও ব্যবহারকারীকে ধরা হয়েছে। সামনের দিকে যেতে যেতে এখানেও একটা সেক্টর ছিল, যারা খুব পরিচিত মুখ আমাদের সোসাইটিতে। এদের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে বলে আমরা অভিযান চালিয়েছি’, যোগ করেন র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক।