পশুর নদে জাহাজডুবি, শুরু হয়নি উদ্ধার কাজ
বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের পশুর নদে ৪০০ টন কয়লা নিয়ে ডুবে যাওয়া জাহাজ এম ভি ইফসিয়া মাহিনের উদ্ধার কাজ শুরু হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বন্দর জেটির অপর পাশে কাটাখালী এলাকায় জাহাজটি ডুবে যায়। একদিন পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত ডুবন্ত জাহাজের উদ্ধার কাজ শুরু হয়নি। এমনকি ঘটনাস্থলে মার্কিং স্থাপনের কাজও শুরু হয়নি। ফলে ওই নৌপথ দিয়ে অভ্যন্তরীণ নৌযান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
তবে বন্দরের হারবার বিভাগ জানিয়েছে, জাহাজটি চ্যানেলের বাইরে চরের দিকে ডোবায় মূল চ্যানেল নিরাপদ রয়েছে।
মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়া কেন্দ্রে থাকা একটি বিদেশি জাহাজ থেকে গত রোববার ভোরে কয়লাবোঝাই করে কার্গোটি। প্রায় ৪০০ মেট্রিক টন নিয়ে সকাল ৯টার দিকে পশুর নদের বানীশান্তা বাজার বয়ায় অবস্থান নেয়। সেখানে থাকাকালে দুপুরের আগে তীব্র পানির স্রোতে বয়া থেকে জাহাজের রশি ছিঁড়ে যায়। এ সময় ১০ থেকে ১২টি জাহাজ ওই বয়া থেকে ছুটে যায়। পরে ওই জাহাজগুলো দুর্ঘটনা এড়াতে যে যার মতো নিরাপদে সরতে থাকে। এ সময় ওইসব কার্গোর মধ্যে একটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে ইফসিয়া মাহিনের। এতে জাহাজটির বাঁ পাশের হ্যাচ ফেটে যায়।
এরপর জাহাজটি ভাসতে ভাসতে বানীশান্তা থেকে কাটাখালী গেলে সেখানে ফাটা জায়গা থেকে পানি উঠে একপর্যায়ে ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া ওই জাহাজটি উদ্ধার ও ডুবন্ত এলাকায় মাকিং স্থাপনের কাজ শুরু করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে মোংলা বন্দরের পশুর নদে ৭০০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ডুবে যায় এমভি বিবি-১১৪৮ নামের একটি কার্গো। ডুবে যাওয়া সেই জাহাজটি এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টারর কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দীন বলেন, ‘মঙ্গলবার ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজটির স্থলে আজ মার্কিং স্থাপন করা হবে। প্রচণ্ড স্রোতের কারণে গতকাল মার্কিং স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া জাহাজটি উদ্ধারে মালিকপক্ষকে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ডুবন্ত জাহাজটি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে মালিকপক্ষ। তাদের সহায়তায় বন্দর কর্তৃপক্ষ চেষ্টা চালাচ্ছে।’
এদিকে, এক মাস আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মোংলা বন্দরের পশুর নদে কানাইনগর এলাকায় ডুবে যাওয়া কয়লাবোঝাই কার্গো জাহাজ উদ্ধার সম্পর্কে হারবার মাস্টার বলেন, ‘এখন পর্যন্ত জাহাজটির উদ্ধারের অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে এ কাজ করতে গিয়ে দুইটি উদ্ধারকারী দল ব্যর্থ হয়ে চলে গেছে। এখন তৃতীয় দল কাজ করছে। পানির প্রচণ্ড স্রোতের কারণে কাজ বিলম্ব হচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যে বাকি কাজ সম্পন্ন হলে ডুবন্তু ওই জাহাজটি উদ্ধার করা সম্ভব হবে।’