পাকুন্দিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বাতিলের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটি বাতিলের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল করেছেন একাংশের নেতাকর্মীরা। একইসঙ্গে তাঁরা সড়ক অবরোধ ও সংবাদ সম্মেলন কর্মসূচি পালন করেন।
দীর্ঘ ১২ বছর পর গত বুধবার ১৯ সদস্যবিশিষ্ট পাকুন্দিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত ওই কমিটিতে নাজমুল আলমকে সভাপতি ও মো. তোফায়েল আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। পরে ওই কমিটির বিরুদ্ধে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের একাংশ। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা আজ ওই কমিটি বাতিলের দাবিতে কর্মসূচি পালন করেন।
এর আগে বুধবার রাতেই নবগঠিত কমিটি প্রত্যাখ্যান করে দুধ দিয়ে গোসল করে ‘রাজনীতিকে বিদায়’ জানানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেন ছাত্রলীগ নেতা মো. আরমিন আহমেদ। যদিও তিনি নবগঠিত কমিটির ১ নম্বর সহসভাপতি। তবে, তিনি সভাপতিকে প্রত্যাখ্যান করে বক্তব্য দিয়ে সেদিন রাজনীতি থেকে বিদায় নিলেও ‘পদত্যাগ করিনি’ বলে জানান। সেদিন তিনি তাঁর ফেসবুক আইডিতে লেখেন, ‘ছাত্রদল থেকে আগত, বিএনপি পরিবার থেকে আগত কারও কাছে আত্মসমর্পণের চেয়ে, বিদায় নেওয়া বেটার (ভালো) সিদ্ধান্ত। রাজনীতিটা বুক দিয়ে নয়, আবেগ দিয়ে করেছি। আবেগে ভেজালের স্থান নেই।’
আজ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ১০টায় স্থানীয় ঈদগাহের সামনে থেকে ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের ঝাড়ু মিছিল বের করে পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মী বাসের টায়ার জ্বালিয়ে পাকুন্দিয়া-মঠখলা সড়কের থানা মোড়ে অবস্থান নেন। এ সময় ওই সড়কে আধ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
পরে দুপুর ১টায় পাকুন্দিয়া বঙ্গবন্ধু চত্বরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নতুন কমিটি অবিলম্বে বাতিলের দাবি করা হয়। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ নেতা সাবিকুল হাসান মুন্না, সাদ্দাম হোসাইন, নাদিম হোসেন ও রাকিবুল হাসান হৃদয় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর পাকুন্দিয়ায় একটি চমৎকার কমিটি দেওয়া হয়েছে। সবাইকে তো আর যার যার পছন্দমতো পদ দিয়ে সন্তুষ্ট করা যায় না। সেজন্য অনেকে নানা মাধ্যমে নানা কথা বলে কমিটির বিরুদ্ধে কুৎসা রটনার চেষ্টা করছে। তবে, সময়ে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।’