পাট অধিদপ্তরের সামনে ১৩৪ চাকরিপ্রার্থীর মানববন্ধন
চাকরিতে নিয়োগের দাবিতে রাজধানীর মতিঝিলে পাট অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধন করেছেন ১৩৪ জন চাকরিপ্রার্থী। আজ রোববার (৭ মে) সকালে মতিঝিলে পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কার্যালয়ের সামনে এই মাববন্ধনে অনুষ্ঠিত হয়। দুই ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা চাকরিপ্রার্থীরা।
ব্যানার-ফেস্টুন হাতে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, পাট অধিদপ্তরের প্রকল্পে তারা ২০১২ সালে যোগদান করেন। তাদের দাবি—সে সময় চাকরির শর্ত ছিল, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তাদের রাজস্বখাতে নিয়োগ দেওয়া হবে। তার বাস্তবায়ন আজও হয়নি।
মানববন্ধন থেকে বলা হয়, ২০১৭ সালে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে যখন পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সেলিনা আক্তারের কাছে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরুর আবেদন করা হয়, তখন মহাপরিচালক গড়িমসি শুরু করেন। দীর্ঘদিনেও নিয়োগ না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। পরে ১৫৪ তাদের পক্ষে আদেশ দেন আদালত।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সঞ্জয় রায় বলেন, ‘বিষয়টি সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ পর্যন্ত গড়ায়। আপিলেও চাকরিপ্রার্থীরা জয়লাভ করেন। আদেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের রাজস্বখাতে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে ১৫৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে মাত্র ২০ জনকে নিয়োগ দেয় পাট অধিদপ্তর। এখনও ঝুলে আছে ১৩৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়োগ।’
মানববন্ধনকারীদের অভিযোগ, তাদের নিয়োগপ্রক্রিয়া ঠেকিয়ে দেওয়ার পেছনে পাট অধিদপ্তরে নিয়োগপত্র ছাড়া চাকরি করে যাওয়া ১২১ জন দায়ী।
মানববন্ধনে অংশ মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘পাট অধিদপ্তরে সওগাতুল আলম নামের একজন নিজেই নিজের পদ সৃষ্টি করে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনিসহ ১২১ জন বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ১৩৪ জনের নিয়োগের বিরুদ্ধে।’
রবিউল আরও বলেন, ‘১২১ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ৫৩ কর্মকর্তার নিয়োগ কোন প্রক্রিয়ায় হয়েছে, পাট অধিদপ্তরের কাছে তা জানতে চেয়েছে সরকারী কর্ম কমিশন। নিয়োগের পক্ষে এখনো পর্যন্ত সঠিক তথ্য-প্রমাণ হাজির করতে পারেনি সওগাতুল আলমসহ অন্যরা।’
চাকরিপ্রার্থী মো. হাসিবুল হক বলেন, ‘চাল-ডাল-পিঁয়াজ, চিনিসহ ১৯টি পণ্যে পাটের ব্যাগের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে পাট অধিদপ্তর। সেই আইন না মেনে প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার করে ইসমাইল ফুড প্রোডাক্টস, সেজন্য মামলা হয় ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। কিন্তু, সেই মামলায় পাট অধিদপ্তরের পক্ষে আইনি পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কাজ করেন সওগাতুল আলম। প্রমাণ পাওয়ায় সওগাতুল আলমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে করেন তখনকার মহাপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান।’
(উফশী) বঙ্গবন্ধু কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সভাপতি মধব চন্দ্র বাড়ৈ, সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামানসহ অন্যরা। তারা নিয়মের বাস্তবায়ন ও অনিয়মতান্ত্রিক সবার অপসারণ দাবি করেন।