পাপুলের অবৈধ আয়ের দায় বিএনপিকেই নিতে হবে : হানিফ
কুয়েতে মানব ও অর্থ পাচারের দায়ে বাংলাদেশের সাংসদ কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, পাপুলের বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ আয়সহ যেসব দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সেসব দুর্নীতি বিএনপির সময় হয়েছে। এর দায় বিএনপিকেই বহন করতে হবে।
আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় কুষ্টিয়ার পিটিআই রোডে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হানিফ এ কথা বলেন। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে হানিফ ঢাকা থেকে কুষ্টিয়ায় পৌঁছান।
সংসদ সদস্য পাপুলের দুর্নীতির বিষয়ে বিএনপির অভিযোগ প্রসঙ্গে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, পাপুল সরকারদলীয় সংসদ সদস্য নন। তিনি স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। অর্থের জোরেই তিনি নির্বাচিত হয়েছেন বলে আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে শুনেছি। পাপুলের বিরুদ্ধে অর্থ দুর্নীতির যেসব অভিযোগ উঠেছিল, যেগুলো দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়েছে, সেগুলো হয়েছে বিএনপির আমলে।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, পাপুল কিন্তু এ সরকারের আমলে অর্থবান হয়নি। বিএনপির আমলে তার এ অর্থ আয় করা হয়েছে। সে অর্থ ব্যয় করে এবার তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এখন পাপুলের আয়টা যদি অবৈধ হিসেবে বিবেচনা করা হয় সেই অবৈধ আয়ের দায়ভার বিএনপিকেই বহন করতে হবে। কারণ সেই সময় তার এ আয়টা করা হয়েছে।
এ সময় হানিফ পদ্মা সেতুর বিষয়ে বলেন, পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি হয় নাই। এটা আন্তর্জাতিক আদালতে প্রমাণিত। এটা বিএনপির কাল্পনিক অভিযোগ। এটা নিয়ে কথা বলার মাধ্যমেই প্রমাণিত হয় এই কাল্পনিক অভিযোগের পেছনে বিএনপিরই মদদ ছিল।
নির্বাচন নিয়ে হানিফ বলেন, পরিকল্পিতভাবে বিএনপি নির্বাচনে অংশই নেয় নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করার জন্য। আর ভোটের সময় দেখা যায় তাদের কোনো এজেন্ট থাকে না, ভোটার থাকে না। আর প্রশাসন তো ভোটের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য নিরপেক্ষ একটা ভূমিকায় সক্রিয় থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। ভোটের নামে বিএনপির সন্ত্রাসীরা যদি নাশকতা করে তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবেই। এতে তারা আওয়ামী লীগের লোকজনকেও ছাড় দেয় না।