পাবনায় আওয়ামী লীগনেতার বিরুদ্ধে সরকারি মোটর বিক্রির অভিযোগ
পাবনার ফরিদপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে বরাদ্দ পাওয়া একটি নলকূপ (সাবমারসিবল) মোটর বিক্রির অভিযোগ উঠেছে আশরাফ আলী (৪০) নামের এক আওয়ামী লীগনেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ডেমরা ইউনিয়নের খাগুরিয়া গ্রামে।
আশরাফ আলী ডেমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শাকপালা গ্রামের বাসিন্দা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মোটর বিক্রির বিষয়টি উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে জানানো হলেও তিনি কোনো আইনগত পদক্ষেপ নেননি।
জানা গেছে, সারা দেশে পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে দলীয়ভাবে একটি সাব-মারসিবল মোটর বরাদ্দ পান আওয়ামী লীগনেতা আশরাফ আলী। পরে তিনি বরাদ্দ পাওয়া মোটরটি একই ইউনিয়নের খাগুরিয়া গ্রামের আব্দুল বাকের উদ্দিনের (৪৫) কাছে বিক্রি করে দেন। বাকের আট নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। পরে বাকের মোটরটি তাঁর মেয়ের জামাই আবদুল হাইয়ের বাড়িতে বসাতে গেলে এলাকাবাসী উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানান।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এলাকাবাসীর মৌখিক অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে মোটর স্থাপনের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্যারকে জানানো হয়েছে।’
অভিযুক্ত আওয়ামী লীগনেতা আশরাফ আলী মোটর বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘মোটরটি আমার নামে বরাদ্দ আসে। কিন্তু বাকের ভাইয়ের বাড়িতে মোটর না থাকায় তাঁকে দিয়ে দেওয়া হয়। কিছু মানুষ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
মোটর কেনার বিষয়টি অস্বীকার করে বাকের আলী জানান, তিনি আশরাফ আলীর কাছ থেকে মোটর এনে মেয়ের জামাইকে দিয়েছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খলিলুর রহমান খলিল বলেন, ‘দলীয়ভাবে আশরাফ আলীকে একটি মোটর দেওয়া হয়েছে। তবে শুনেছি তিনি তাঁর মোটরটি অন্য একজনকে দিয়েছেন।’
ইউএনও জেসমীন আরা বলেন, ‘কেউ এখনও অভিযোগ দেয়নি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’