পাবনায় ইউপি ভবনে ফাটল : ঝুঁকি নিয়ে চলছে দাপ্তরিক কাজ
পাবনার সাঁথিয়ার গৌরীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের ছাদে ও বিমে ফাটল দেখা দিয়েছে। খুলে পড়ছে পলেস্তারা। এরই মধ্যে চলছে দাপ্তরিক কাজ। অথচ রয়েছে জীবনের ঝুঁকি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৪০ বছর পূর্বে ভবনটি নির্মিত হয়। এর আগে পরিষদের দাপ্তরিক কাজ প্রথমে টিনের ঘরে চলত।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের সিলিংয় থেকে খসে পড়েছে পলেস্তারা। দেওয়ালে গভীর ফাটল। কাঠের তৈরি জানালা দরজায় ঘুন ধরেছে। এতে যেকোনো সময় রয়েছে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা। বিমে ফাটল ধরায় বৈদ্যুতিক লাইনগুলো ছিঁড়ে শটসার্কিট হতে পারে। সব মিলিয়ে ভবনের ভেতর ও বাইরে বেহাল অবস্থা।
জানা যায়, বৃষ্টির দিনে ছাদ চুইয়ে ভেতরে পানি পড়ে। এতে অনেক সময় মূল্যবান কাগজপত্র নষ্ট হয়ে গেছে।
সাঁথিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গৌরীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদটি ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ইউনিয়নে ২৭টি গ্রাম রয়েছে। আয়তন ২৮ দশমিক ৯২ বর্গকিলোমিটার। বর্তমান অনলাইন জন্মতথ্য অনুযায়ী, এই ইউনিয়ন পরিষদের লোকসংখ্যা ৩১ হাজার ৩০৩ জন। বিশাল জনগোষ্ঠীর এই পরিষদের ভবনে দূরদূরান্ত থেকে প্রতিদিন কাজের জন্য অনেক লোকজন আসেন। তাঁরা আতঙ্কের মধ্যে থাকেন।
পরিষদের চেয়ারম্যান অব্দুল ওহাব মাস্টার বলেন, ‘ভবনটির ছাদে ও বিমে ফাটল ধরায় ও পলেস্তারা খসে পড়ায় আমার অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ইউপি সদস্য এবং জনসাধারণ সব সময় আতঙ্কে থাকে। এ ব্যাপারে আমি সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেছি। একটি আধুনিক ভবন নির্মিত হওয়া খুবই প্রয়োজন। ভবনটি হলে আমরা মনের স্বস্তি নিয়ে অফিসে জনসাধারণকে সেবা দিতে পারব।’
পরিষদের সচিব মামুন মিয়া বলেন, ‘আমরা সব সময় আতঙ্কের মধ্যে থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অফিসের কাজকর্ম করছি এবং মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। সেবা নিতে আসা জনসাধারণও সব সময় আতঙ্কের মধ্যে থাকে। এলাকাবাসী পরিষদের মেম্বার ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অতিসত্বর ভবনটি মেরামত ও নতুন একটি আধুনিক ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।’