পাবনায় একাধিক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার সেতু কারাগারে
পাবনায় অন্তত চারটি বিয়ে বিচ্ছেদসহ বিভিন্ন মেয়েদের সঙ্গে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার সেতু এখন জেলা কারাগারে। অবশেষে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ষণ মামলায় গত বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব-১২ তাকে আটক করে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে গতকাল শুক্রবার জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত মো. আনিসুজ্জামান সেতু সাঁথিয়া পৌরসভার বোয়াইলমারী গ্রামের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগের বরাত দিয়ে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, ঈশ্বরদীর এক তরুণীর সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় আনিসুজ্জামান সেতুর। সেই সূত্র ধরে গত মার্চে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণীকে হোটেলে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরে ওই মেয়েটির পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে সেতুর পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেলে তারা বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে ফিরিয়ে দেয়। শেষে কোনো উপায় না দেখে ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে ইশ্বরদী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। পরে গত বৃহস্পতিবার রাতে সেতুকে র্যাব-১২ তাঁর নিজ বাড়ি থেকে আটক করে ঈশ্বরদী থানায় সোপর্দ করেন।
অপরদিকে, পাবনা সদরের অপর এক নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে ব্যবসার উদ্দেশে পাঁচ লাখ টাকা নেয়। তাতে ব্যবসার লভ্যংশ দেওয়ার কথা থাকলেও তা দিচ্ছে না। এমনকি আসল টাকাও দিচ্ছে না। টাকা চাইতে গেলে খুনের হুমকি দিচ্ছে বলে পাবনা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন আরেক মেয়ে।
ওসি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আরও বলেন, ‘সেতুর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, ‘এর আগে সেতু পর পর চারজন স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছেন। পাবনা সদর থেকে আরও একটি মেয়ে এসেছিলেন সেতুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে। যেহেতু ঘটনাস্থল পাবনা সদরে সেহেতু অভিযোগ সদর থানায় দিতে বলেছি। সেতুর কাজই হচ্ছে বিয়ে করে কিছুদিন রেখে পরে ডিভোর্স দেওয়া ও মেয়েদের সঙ্গে পরিচয় করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করা।’