পাবনায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে মারধর
পাবনার আমিনপুর থানার সাগরকান্দিতে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে তুলে নিয়ে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে নির্মমভাবে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে সদ্য বিজয়ী চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরী ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার এ ঘটনা ঘটে।
পরিবারের অভিযোগ, গতকাল রতনগঞ্জ হাইস্কুল পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী নাছিমকে তুলে নিয়ে চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশের মালঞ্চির মাঠে বেদম মারপিট করা হয়। আহত কিশোর নাছিম শেখ সাগরকান্দি হাইস্কুলের ছাত্র এবং সিন্দুরী বরুনিয়া গ্রামের মাজেদ শেখের ছেলে। সে সম্প্রতি অনুষ্ঠেয় ইউপি নির্বাচনে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ তৈয়ব শেখের বোনের ছেলে।
এ বিষয়ে তৈয়ব শেখ বলেন, আমি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই আমার ও আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর নির্যাতন করে আসছেন শাহীন চৌধুরী। ষড়যন্ত্র করে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর আরও নির্মম ও নিষ্ঠুর হয়ে উঠেছেন তিনি। নির্বাচনে আমার সমর্থক হওয়ায় কিছুদিন আগে এক ভ্যানচালককে মারধর করেন শাহিন চৌধুরী ও তার বাহিনী। সবচেয়ে দুঃখজনক আমার নিষ্পাপ ভাগ্নেকেও তারা রেহাই দেননি। পরীক্ষার হল থেকে তুলে নিয়ে শাহীন চৌধুরীর বাড়ির সন্নিকটে মালঞ্চির মাঠে তাকে বেপরোয়া ভাবে রড ও হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়। বর্তমানে সে বাড়িতে শয্যাশায়ী অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। সে আর পরীক্ষাও দিতে পারবে না। আমরা বাড়িতে অবরুদ্ধ। কেউ বের হতে পারছি না। হাসপাতালে নিব কিংবা থানায় জানাব সেই সুযোগও নেই। পুলিশকে ফোনে জানালেও কাজ করছে না তারা।
মারপিটের শিকার নাছিমের বাবা আব্দুল মাজেদ শেখ বলেন, ‘শাহিন চৌধুরীর লোকজন নবীন, লিটনসহ একদল লোকজন এসে গত কয়েকদিন আগে আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় এবং ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। কোনো কারণ ছাড়াই তারা এমন করছে। তাদের দাবিকৃত টাকা না পেয়েই মূলত আমার ছেলেকে পরীক্ষার হল থেকে তুলে নিয়ে এমন মারপিট করে জখম করে তারা।’
এ বিষয়ে সাগরকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরী বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, ‘এটা একদম ভিত্তিহীন অভিযোগ।’
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলী বলেন, ‘কেউ অভিযোগ নিয়ে তার কাছে এখনও আসেনি। মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’ তবে শাহিন চৌধুরীর পক্ষে অবস্থান নেওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।