পাবনায় সাংবাদিকের ওপর হামলা
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সিরাজুল ইসলাম আপন (২৬) নামের এক সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কলকতি ঘাট এলাকায় তাঁর ওপর এই হামলা চালানো হয়।
আহত সাংবাদিক আপন ইসলাম দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি ও সাপ্তাহিক ও অনলাইন চলনবিলের আলো পত্রিকার বার্তা সম্পাদক। তিনি উপজেলার অষ্টমণীষা ইউনিয়নের বাসিন্দা ও ইলেকট্রিক পণ্য ব্যবসায়ী। তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
পুলিশ পারিবারিকসূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে অষ্টমণীষা থেকে ভাঙ্গুড়ায় যান সিরাজুল ইসলাম আপন। এ সময় তিনি ভাঙ্গুড়া প্রেসক্লাবে গিয়ে তাঁর কয়েকজন সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলেন। পরে তিনি রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোটরসাইকেলে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। পথে রাত ৯ টা ২৫ মিনিটের দিকে উপজেলার কলকতি ঘাট এলাকায় পৌঁছালে তিনটি মোটরসাইকেলে ছয় ব্যক্তি তাঁর পথ রোধ করে। এ সময় তারা সাংবাদিক আপনকে মোটরসাইকেল থেকে টেনে-হিঁচড়ে নামিয়ে হত্যার উদ্দেশে ব্যাপক মারধর করে। এতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাঁকে মৃত ভেবে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায় দুর্বৃত্তরা।
পরে একজন ভ্যানচালক সাংবাদিক আপনকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তাঁর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাৎক্ষণিক তাঁকে পাবনা সদর হাসপাতালে রেফার করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক কৌশিক খান বলেন, ‘প্রচণ্ড আঘাতের কারণে তাঁর ফুসফুস ও হার্ট মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে পাবনা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।’
ভাঙ্গুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক মাহবুব-উল-আলম বাবলু বলেন, ‘রাতের আঁধারে সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম আপনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ বাকিবিল্লাহ ও ভাঙ্গুড়া পৌর সভার মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। শিগগিরই হামলাকারীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসব।’