পাবনায় হত্যা মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন
প্রতিবন্ধী সেলিম বিশ্বাস (২৬) হত্যা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে পাবনার বিজ্ঞ বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক এ আদেশ দেন।
নিহত সেলিম পাবনা সদর উপজেলার বজ্রনাথপুর গ্রামের মো. আজহার আলীর ছেলে। তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী। তাঁর বাম পা কাটা এবং বাম হাত অকেজো ছিল।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন জেলা সদরের বজ্রনাথপুর গ্রামের জহুরুল ওরফে মুন্না (৩৫), বলরামপুর মহল্লার আযাদ হোসাইন (৩৩)।
আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ২ জুন রাত ৮টার দিকে বজ্রনাথপুরের একটি চায়ের দোকানে চা খেয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুজন যুবক মিলে তাকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তাঁর সন্ধান মিলছিল না। পরে বাড়ির পাশে একটি কলাবাগানে মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পরিবার গিয়ে লাশ শনাক্ত করে।
অবিযোগে বলা হয়েছে, এ ঘটনার সূত্রপাত হয় একটি মেয়েকে কেন্দ্র করে। প্রতিবন্ধী যুবক একই গ্রামের আজমত প্রামাণিকের মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ কলাবাগানে ফেলে রাখে।
এ ঘটনায় ৪ জুন সেলিমের বাবা আজহার আলী বাদী হয়ে মামলা করেন। পুলিশ মোবাইল ফোনের কললিস্ট ধরে তদন্ত শুরু করে। এ মামলায় পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
দীর্ঘ শুনানির পর আদালত হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ও পরিকল্পনাকারী দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট সনৎ কুমার সরকার মামলাটি পরিচালনা করে। রায়ের সময় উভয়পক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।