পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে সমুদ্রসীমা নির্ধারণে সক্ষম হয়েছি : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করতে সক্ষম হয়েছে। আজ বুধবার কক্সবাজারের ইনানি পয়েন্টে বাংলাদেশ নৌবাহিনী আয়োজিত আন্তর্জাতিক ফ্লিট রিভিউ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। বাংলাদেশসহ ২৮টি দেশের নৌবাহিনী ও মেরিটাইম সংস্থার অংশগ্রহণে শুরু হয়েছে এই আইএফআর।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ নৌবাহিনী এ আইএফআর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, সৌদি আরব, ভারত, চীন, কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, নেদারল্যান্ডস এবং স্বাগতিক বাংলাদেশসহ এতোগুলো দেশের অংশগ্রহণে এটি দেশের প্রথম আইএফআর।
আইএফআর-২০২২ বিভিন্ন দেশের নৌবাহিনীর জন্য তাদের দক্ষতা, নৌ কূটনীতি, সদিচ্ছা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সহযোগিতা প্রদর্শনের জন্য একটি আদর্শ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। নৌবাহিনী সদর দপ্তর আশা করছে, আইএফআর সাধারণভাবে বাংলাদেশ এবং বিশেষ করে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য বড় একটি সুযোগ কারণ এর মাধ্যমে বাংলাদেশের জলসীমায় বিশ্ব নৌবাহিনীর সাথে যোগাযোগ এবং দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পর্যটন ও অবকাঠামো উন্নয়নের সুযোগ তৈরি হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সমঝোতা ও আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। জাতি হিসেবে আমরা বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করা হচ্ছে, যুদ্ধ করার জন্য নয়। আমাদের লক্ষ্য শান্তি বজায় রাখা, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। যেকোনো যুদ্ধ মানবজাতির জন্য কী ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে, ১৯৭১ সালে আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমরা তা নিজেরা দেখেছি। আর বর্তমানে চলমান রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের ভয়াবহতা, বীভৎসতা আপনারা অবলোকন করতে পারেন, অনুভব করতে পারেন। আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। আন্তর্জাতিক মহলেও সবাইকে এই আহ্বান জানিয়েছি, যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। কোনো সমস্যা থাকলে শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কক্সবাজারে আমরা ইতোমধ্যেই একটি সমুদ্র গবেষণাকেন্দ্র স্থাপন করেছি। আমাদের সরকার সমুদ্র সম্পদের অপার সম্ভাবনা উপলব্ধি করে বাংলাদেশের সামুদ্রিকখাতের উন্নয়নে ব্যাপক উদ্যোগও গ্রহণ করেছে।