পিপিপির মাধ্যমে সরকারি জলমহাল ইজারার সুযোগ নেই : ভূমি মন্ত্রণালয়
বিদ্যমান পিপিপি আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় সরকারি জলমহাল ইজারা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
আজ মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে এই মতামত ব্যক্ত করা হয়। এতে অবহিত করা হয়, ‘বাংলাদেশ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব আইন, ২০১৫’-এর ধারা ২(১২) অনুযায়ী ‘সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি, ২০০৯’-এর ২৮ অনুচ্ছেদ-এর আওতায় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সঙ্গে সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে কোনো জলমহাল ইজারা প্রদানের সুযোগ নেই।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান বলেন, বর্তমানে কেবল অনলাইনে জলমহাল ইজারার জন্য আবেদন দাখিল করার মাধ্যমেই প্রকৃত মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি জলমহাল ইজারা পেতে পারে। এদিকে, জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালাটি পিপিপি আইন প্রণয়নের পূর্বে করা হয়েছিল। আইনের বিধানাবলি, যেকোনো বিধি ও প্রবিধিমালা কিংবা নীতিমালার ওপর প্রাধান্য পায়। ২০০৯ সালে প্রণীত সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতিতে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয় পরীক্ষামূলকভাবে সারা দেশে স্বল্পসংখ্যক জলমহালের ব্যবস্থাপনার কথা বলা আছে।
অন্যদিকে, ২০১৫ সালের পিপিপি আইনে পিপিপি প্রকল্প বলতে নতুন কোনো অবকাঠামো নির্মাণ বা পরিচালনা বা উভয় করার পরিকল্পনা, বিদ্যমান কোন অবকাঠামো বিনির্মাণ করার পরিকল্পনা কিংবা দুটিই অথবা কোন অবকাঠামোর সুবিধার সঙ্গে সংযুক্ত নয় এমন সকল পণ্য বা সেবা সরবরাহ সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড বা কর্মসূচি বোঝায়।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী অনলাইনে জলমহালের আবেদন প্রক্রিয়া উদ্বোধন করেন। প্রচলিত পদ্ধতিতে জলমহাল ইজারার আবেদনে অনেক সময় জলমহাল ইজারা প্রক্রিয়ায় মধ্যস্বত্বভোগী ও দালালদের নানা অপকৌশলের কারণে প্রকৃত মৎস্যজীবীরা নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতেন। অনলাইনে জলমহালের আবেদন প্রক্রিয়া চালুর ফলে এখন আর সেই সুযোগ নেই। অনলাইনে জলমহাল আবেদন শুরুর পর জলমহাল সংশ্লিষ্ট অংশীজন থেকে কোনো ধরনের অভিযোগ আসেনি বলে জানিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।