পি কে হালদারসহ ১২৯ ঋণখেলাপিকে হাইকোর্টে তলব
প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে থাকা প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) ১২৯ ঋণখেলাপিকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী ২৪ ও ২৫ মে সকাল সাড়ে ১০টায় তাদেরকে আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে কবে, কীভাবে টাকা পরিশোধ করবেন সে বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে।
আদালত তাঁর আদেশে আরও বলেছেন, এসব ঋণখেলাপিকে কিস্তিতে টাকা পরিশোধের প্ল্যান (পে-প্ল্যান) নিয়ে আসতে হবে; যাতে তাঁরা ধীরে ধীরে যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে কোম্পানিটির পাওনা পরিশোধ করতে পারেন।
আইএলএফএসএল থেকে ঋণগ্রহণকারী ব্যক্তি ও সংস্থার তালিকা দাখিল করে প্রয়োজনীয় আদেশ চেয়ে আইএলএফএসএলয়ের দায়ের করা আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক কোম্পানি বেঞ্চ গত ১৬ মার্চ এই তলবের আদেশ দেন। ওই আদেশের কপি লেখার পর তাতে বিচারকের স্বাক্ষর শেষে আজ বুধবার লিখিত আদেশ প্রকাশ করেন আদালত।
আইএলএফএসএলয়ের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন বলেন, পি কে হালদারসহ ১২৯ ঋণখেলাপির কাছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের পাওনা প্রায় এক হাজার ৮০০ কোটি টাকা। গ্রাহকের এই টাকা কবে, কীভাবে তারা পরিশোধ করবেন তা জানতে আদালত তলব করেছেন। ১২৯ ঋণ খেলাপির মধ্যে ১০০ জনকে ২৪ মে ও ২৯ জনকে ২৫ মে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
গত ২১ জানুয়ারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে পাঁচ লাখ টাকা ও তার বেশি অর্থঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়া এমন ২৮০ ব্যক্তিকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট।
আদালতের আদেশে গত ২৩ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৫৮ জন ঋণখেলাপি হাইকোর্টে হাজির হয়েছিলেন। হাইকোর্ট তাদের উদ্দেশে বলেছিলেন, আগে টাকা দিবেন তারপর আলোচনা, না দিলে কারাগারে যেতে হবে।
আদালতের তলব আদেশের পরও হাজির না হওয়ায় পিপলস লিজিংয়ের ১২২ ঋণখেলাপির খেলাপির বিদেশ গমনে গত ৯ মার্চ নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। ঋণখেলাপিদের থেকে টাকা আদায়ে হাইকোর্টের আদেশের ধারাবাহিকতায় এবার ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ১২৯ ঋণখেলাপিকে তলব করলেন আদালত।