পি কে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুরু
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগে ভারতে গ্রেপ্তার পি কে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি শুরু হয়েছ। আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে এই মামলায় দুদকের পক্ষে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ হয়। দুদকের শুনানি শেষে আসামিপক্ষে অবন্তিকা বড়াল ও সুকুমার মৃধার পক্ষে শুনানি শেষ হয়েছে।
এরপর শঙ্খ বেপারী ও অনিন্দিতা মৃধার পক্ষে আংশিক শুনানি শেষ করেন আসামিপক্ষ। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৮ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
দুদক প্রসিকিউটর মীর আহাম্মদ আলী সালাম এ তথ্য জানিয়ে তিরনি বলেন, গত ৭ জুলাই এই মামলার পলাতক ১০ আসামিকে হাজিরে জারি করা গেজেট বিজ্ঞপ্তির কপি আদালতে দাখিল করা হয়। এরপর ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এ বদলির আদেশ দেন।
মামলার ১৪ আসামির মধ্যে ১০ জন পলাতক। আসামিরা হলেন- পিকে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানি হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রীতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গমোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি। এছাড়া, অপর চার আসামি কারাগারে আছেন। ওই আসামিরা হলেন- পি কে হালদারের বান্ধবী অবন্তিকা বড়াল, শঙ্খ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা।
নথি থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পি কে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন; যা দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ওই অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস, প্রকৃতি, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ, উৎস গোপন বা আড়াল করতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করে মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ করেছেন।
এরপর মামলাটি তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করে দুদক ৷ অভিযোগপত্রে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশটিতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।