পি কে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় পি কে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মামুনুর রশিদ সাক্ষ্য দিয়েছেন। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে গতকাল বুধবার (২৯ মার্চ) সাক্ষ্য দেন এই দুদক কর্মকর্তা। এদিন তার সাক্ষ্য শেষ না হওয়ায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত।
এদিন কারাগারে আটক চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের উপস্থিতিতে তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদক প্রসিকিউটর মীর আহাম্মদ আলী সালাম। তিনি বলেন, ‘এ মামলায় ১৪ আসামির মধ্যে ১০ জনই পলাতক। যে চারজন আটক রয়েছে তাদের উপস্থিতিতেই সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। মামলাটিতে মোট ১০৬ জনের মধ্যে ৯৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।’
দুদকের করা মামলাটিতে পলাতক আসামিরা হলেন- পিকে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানি হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রীতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গমোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি। আর কারাগারে থাকা আসামিরা হলেন- পি কে হালদারের বান্ধবী অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা।
২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী। মামলার এজাহারে বলা হয়, পি কে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। এ ছাড়া ওই অর্থ আড়াল করতে বিদেশে পাচার করে মানি লন্ডারিং আইনেও অপরাধ করেন তিনি। মামলাটি তদন্ত শেষে ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন।