পি কে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ১০ ব্যাংক কর্মকর্তার সাক্ষ্য
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগে প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ১০ ব্যাংক কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
সাক্ষীরা হলেন–ব্যাংক এশিয়ার এভিপি মো. নাসির উদ্দিন, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মনজুরুল হক, এভিপি নাইমুর রহমান, এফএভিপি আসিফুজ্জামান খান, এফভিপি মাসুদুর রহমান, সিনিয়র অফিসার সালমান এফএভিপি গোলাম রাব্বানী, এফভিপি সৈয়দ আসাদ আহমেদ, এভিপি সুজায়েত খান মাহতাব ও ভিপি শেখ মুনীরুল হাকিম।
পিকে হাওলাদার ছাড়া অপর আসামিরা হলেন–পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রাণী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রীতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায়, স্বপন কুমার মিস্ত্রি, অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা। এদের মধ্যে অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা, অনিন্দিতা মৃধা কারাগারে আটক রয়েছেন।
নথি থেকে জানা গেছে, গত ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুদক। সেই মামলার তদন্তে নেমে এখন পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের তথ্য পেয়েছে মামলার তদন্ত সংস্থা।
তবে, মামলা দায়েরের আগেই পি কে হালদার পালিয়ে কানাডা চলে যান। পালিয়ে যাওয়ার আগে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন তিনি। একই সময়ে তিনি চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (আইএলএফএসএল), পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি) নিজের নিয়ন্ত্রণে ধরে রাখেন। এসব প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা তুলে তা কাগুজে প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়ার নামে আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচার করেন তিনি।
পি কে হালদারের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে তার ৬২ জন সহযোগীর খোঁজ পায় দুদক। পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।