পি কে হালদারসহ ১৯ আসামিকে হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ
গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ১০ আসামিকে হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত এ আদেশ দেন।
দুদকের আদালত পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আজ আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আদালতে প্রতিবেদন না আসায় পলাতক দশ আসামিকে বিচারক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেন এবং এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৭ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত। অপর ৯ আসামি হলেন- লীলাবতী হালদার (পি কে হালদারের মা), পূর্ণিমা রাণী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রীতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি। এর মধ্যে অবন্তিকা বড়াল, শঙ্খ বেপারী, সুকুমার মৃধা, অনিন্দিতা মৃধা কারাগারে আটক রয়েছেন।
নথি থেকে জানা গেছে, গত ২৭ মার্চ ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত এ মামলার পলাতক দশ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পি কে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। যা দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ওই অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস, প্রকৃতি, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ, উৎস গোপন বা আড়াল করতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করে মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ করেছেন। পরে দুদক তদন্ত শেষে চলতি বছরে ১৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।