পি কে হালদারের আইনজীবীর স্ত্রীর জামিন নাকচ, আত্মসমর্পণের নির্দেশ
পি কে হালদারের আয়কর আইনজীবী সুকুমার মৃধার স্ত্রী সোনালী ব্যাংক লিমিটেড প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত প্রিন্সিপাল অফিসার (অপারেশন) তাপসী রানী শিকদারের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিচারিক আদালতে তিন সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জামিন আবেদন নাকচ করে আজ সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি। আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আশফাকুর রহমান ভুলু।
মামলার বিবরণে জানা যায়, পি কে হালদারের আয়কর আইনজীবী সুকুমার মৃধা, তার স্ত্রী তাপসী রানী শিকদার, মেয়ে অনিন্দিতা মৃধাসহ পাঁচজনকে আসামি করে দুদকের উপপরিচালক সালাউদ্দিন বাদী হয়ে অবৈধ ব্যবসা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২০ কোটি ৭০ লাখ আট হাজার ৮৫০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি মামলা করেন।
এজাহার অনুযায়ী, সুকুমার মৃধা তার অবৈধ অর্জিত অর্থ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ১৪ পরগণার অশোক নগরে তার নিজ নামে ও স্ত্রী তাপসী রানী শিকদারের একক ও যৌথ নামে প্রায় ৪০ শতক জমি কেনেন। তা ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের অশোক নগরে তার কেনা দুইতলা ভবন নির্মাণ করেছেন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন অবৈধ উৎস হতে অর্জিত অর্থ নিকটবর্তী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পাচারের ক্ষেত্রে সুকুমার মৃধার ভাগ্নে স্বপন কুমার মিস্ত্রি প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেছেন মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানকালে জানা যায়।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায় যে, সুকুমার মৃধার স্ত্রী তাপসী রানী শিকদার সোনালী ব্যাংক লিমিটেডে কর্মরত থাকাবস্থায় তিনি সরকারের পূর্বানুমোদন ছাড়াই ভারতের নাগরিকত্ব অর্জন করেন। তা ছাড়া সুকুমার মৃধা ও তার মেয়ে অনিন্দিত মৃধারও রয়েছে দ্বৈত নাগরিকত্ব।