পি কে হালদারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ ৩ মে
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগের মামলায় প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৩ মে পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ সোমবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এই দিন নির্ধারণ করেন। এদিন মামলার তদন্তকর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিনের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু কারাগারে থাকা অবন্তিকা বড়াল অসুস্থ থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। এজন্য বিচারক সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৩ মে দিন ধার্য করেন।
দুদকের আইনজীবী মীর আহম্মেদ আলী সালাম গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এদিন কারাগারে থাকা অপর আসামি শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধাকে আদালতে হাজির করা হয়। কারাগারে থাকা আরেক আসামি অবন্তিকা বড়াল অসুস্থ থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। এ ছাড়া গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ১০ আসামি পলাতক। বাকি পলাতক আসামিরা হলেন—লিলাবতী হালদার (পি কে হালদারের মা), পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি। এদিকে, এ মামলায় ১০৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।’
নথি থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী। মামলার এজাহারে বলা হয়, পি কে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। এছাড়া ওই অর্থ আড়াল করতে বিদেশে পাচার করে মানি লন্ডারিং আইনেও অপরাধ করেন তিনি। মামলাটি তদন্ত শেষে ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন।