পি কে হালদারের সহযোগী নাহিদা রুনাই’র জামিন নাকচ
বিদেশে পালিয়ে থাকা পি কে হালদারের সহযোগী ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট নাহিদা রুনাই’র জামিন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন।
দুদকের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা মো. জুলফিকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত বছর ১৬ মার্চ বিকেল ৪টায় রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে নাহিদা রুনাইকে গ্রেপ্তার করে দুদক।
গত বছরের ২৪ জানুয়ারি ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে কাগুজে প্রতিষ্ঠান ‘আনাম কেমিক্যাল লিমিটেডের’ নামে ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা ঋণের নামে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। গত বছরের ২৫ জানুয়ারি আরও চারটি মামলা করে দুদক। ‘ভুয়া ও কাগুজে’ পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের নামে পাঁচটি মামলায় ৩৫১ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন ও আত্মসাতের অভিযোগে পি কে হালদারসহ ৩৩ জনকে আসামি করা হয়।
এ ছাড়া গত বছরের ৯ মার্চ ১০টি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে পি কে হালাদারসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে আরও ১০টি মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে দুদক।
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নানা কৌশলে নামে-বেনামে অসংখ্য কোম্পানি খুলে শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কেনেন এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে নিজের আত্মীয়, বন্ধু ও সাবেক সহকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে পর্ষদে বসিয়ে অন্তত চারটি ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন।
এই চার কোম্পানি হলো ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (আইএলএফএসএল), পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি)।
এসব কোম্পানি থেকে পি কে হালদার ঋণের নামে বিপুল টাকা সরিয়ে বিদেশে পাচার করেছেন বলে তদন্তকারীদের অভিযোগ। এর মধ্যে আইএলএফএসএলের গ্রাহকদের অভিযোগের মুখে গত বছরের শুরুতে পি কে হালদার বিদেশ পালানোর পর দুদক তাঁর ২৭৫ কোটি টাকার ‘অবৈধ সম্পদের’ খবর দিয়ে মামলা করে।