পুকুরে দুই শিশু ও নদীতে রিকশাচালকসহ চার লাশ উদ্ধার
বরিশালের বাকেরগঞ্জে পুকুর থেকে দুই শিশু, কীর্তনখোলা নদী থেকে এক রিকশাচালক ও পায়রা নদী থেকে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বাকেরগঞ্জে মৃত্যু হয়েছে চাচাতো দুই ভাই রোহান (৫) এবং সাইমুনের (৪)। গতকাল সোমবার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাওলাদার বাড়িতে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এসএম শফিকুর রহমান বলেন, ‘এই ঘটনায় স্বজনেরা কাউকে সন্দেহ করছেন না। ফলে মঙ্গলবার দুই শিশুর দাফন করা হবে।’
ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রোহান মনির হাওলাদারের ছেলে ও সাইমুন শাহিন হাওলাদারের ছেলে। স্বজনদের ধারণা, দুজনে উঠানে খেলতে খেলতে পুকুর পাড়ে গিয়ে পুকুরে পড়ে ডুবে যায়। পরিবারের লোকজন খুঁজে না পেয়ে পুকুরে সন্ধান চালালে তিন ঘণ্টা পর সেখানে লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মনির হাওলাদার ও শাহীন হাওলাদার ঢাকায় থাকেন। তারা বাড়িতে পৌঁছানোর পর দুই শিশুর দাফন হবে।’
এদিকে বরিশাল নগরী সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদী থেকে আমির হোসেন (৫০) নামে এক রিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি কেডিসি বালুর মাঠ এলাকার সৈয়দ আলীর ছেলে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নগরীর কেডিসি সংলগ্ন নদীতে থাকা জেটির নিচ থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসনাত জামান বলেন, ‘গোসল করতে নামেন আমির হোসেন। পরে তার পরিবার কোনো খোঁজ না পাওয়ায় একপর্যায়ে ডুবুরি ও স্থানীয়রা সন্ধ্যার দিকে লাশের সন্ধান পায়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। পরিবারের অভিযোগ না থাকায় লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
অপরদিকে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি হুমায়ন কবির জানান, বাকেরগঞ্জ উপজেলার উত্তর রামপুর গ্রামের নানা বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার দ্বিপাশা গ্রামের অসীম চন্দ্রের ছেলে অপূর্ব চন্দ্র (১২)। সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে অপূর্ব পায়রা নদীর শাখা নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের খবর পেয়ে তারা গিয়ে নদীতে তল্লাশি করে বিকেল ৪টার দিকে অপূর্বর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
অপূর্বের মৃগী রোগ ছিল বলে পরিবারের সূত্রে জানান ডুবুরি হুমায়ন কবির।