‘পুকুরে বিষ দিয়ে মারা হলো’ হাজারও পাঙাশ মাছ
ঢাকার আশুলিয়ায় রাসেল নামের এক মৎস্য খামারির দুটি পুকুরে রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তদের দেওয়া বিষে কয়েক হাজার পাঙাশ মাছ মারা গেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের মোজার মিল বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন দুটি পুকুরে আজ মঙ্গলবার সকালে এ অবস্থা দেখা যায়। তবে কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা এখনো জানা যায়নি।
ভুক্তভোগী খামারি রাসেলের অভিযোগ, বছর খানেক আগেও তাঁর এই পুকুরে প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছ বিষ দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল। এবার দুটি পুকুরের প্রায় আট থেকে ১০ লাখ টাকার মাছ একই পদ্ধতিতে মেরে ফেলা হয়েছে।
রাসেল জানান, পুকুরগুলো তাঁর বাসা থেকে বেশ খানিকটা দূরে মোজার মিল বাসস্ট্যান্ডের পাশে। পুকুরগুলো আয়তনে প্রায় এক বিঘার মতো হবে। একটিতে ১২ হাজার ও আরেকটিতে ছয় হাজার পাঙাশের পোনা ছাড়া হয়েছিল। একেকটি পাঙাশ সবশেষ এক থেকে দেড় কেজি ওজনের হয়েছিল। এখন বাজারে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা কেজি দরে পাঙাশ বিক্রি হয়। সে হিসেবে তাঁর আট থেকে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
রাসেল বলেন, ‘মনে হয় সোমবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার দিকে বিষ দেওয়া হয়েছে। আজ সকালে যখন মাছের খাবার দিতে এসেছি, তখন দেখি মাছ নড়ে না। পরে পুকুরে লোক নামিয়ে দেখি পানির নিচে সব মাছ মরে পড়ে গেছে। সেখান থেকে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ মণ মাছ উঠিয়েছি।’
রাসেল আরও বলেন, ‘গেল বন্যায় আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। ইপিজেডের বিষাক্ত পানি ঢুকে আমার এক পুকুরের প্রায় কোটি টাকার মাছ মারা যায়। অনেক টাকা ঋণ হয়ে আছি। এখন আবার এই মাছগুলো মেরে ফেলল। অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল আমার।’
সাভার উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হাসান সরকার বলেন, ‘এ ধরনের বিষয়গুলোতে ডিপার্টমেন্টালি আমাদের করার মতো তেমন কিছু থাকে না। কারণ যে এখানে বিষ প্রয়োগ করেছে, এটার কোনো সাক্ষী নেই। আবার পানি পরীক্ষা করে বিষ আইডেন্টিফাই করার মতো ব্যবস্থাও আমাদের এখানে নেই। একমাত্র ময়মনসিংহে থাকতে পারে। তবে সেটাও সুনিশ্চিত না। এখন ভুক্তভোগীর প্রথম করণীয় হচ্ছে, উনি যদি কাউকে সন্দেহ করেন যে, সে বিষ দিয়েছে, তাহলে তিনি তার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সুস্পষ্ট কারণ দেখাতে হবে। এ জন্য আমরা তাঁকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।’