পুরান ঢাকায় আলোকচিত্রে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের দেয়াল
পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোকচিত্রে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের দেয়ালসহ নানা কর্মসূচি উদযাপন করা হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবুর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনুদ্দিন রানা প্রধান অতিথি এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
পুরান ঢাকার সূত্রাপুরের বানিয়ানগর দারুল উলুম শাফিকিয়া মাদ্রাসায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে কোরআন খতম ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারসহ সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
ঐতিহাসিক ভিক্টোরিয়া পার্কে সকাল ৮টায় জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরু করা হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে ঢাকার ফরাশগঞ্জে ঢাকা অরফানেজ সোসাইটির অনাথ শিশুদের নিয়ে কেক কাটা হয়। তাদের মিষ্টিমুখ করানো হয় এবং তাদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়।
সকাল ৯টায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং আলোকচিত্রে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের দেয়াল উদ্বোধন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বাহাদুর শাহ পার্কে দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ১০০ ছবি নিয়ে আলোকচিত্রে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের দেয়াল। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু প্রটেক্ট দেয়াল ও বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর ২৬টি চিত্রে আরেকটি দেয়াল।
এরপর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের আঁকা ছবি প্রদর্শন। মুক্তিযুদ্ধের একাত্তরের দিনগুলো নিয়ে ছয় পর্বের শিশু নাটক মঞ্চায়ন। এর আগে সকালে পুরান ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে শোভাযাত্রা করে বাহাদুর শাহ পার্কের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। এ সময় তারা ছড়া, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, সংগীত পরিবেশনসহ নানা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এরপর তিন শতাধিক অংশগ্রহণকারীর মধ্যে সম্মাননা স্মারক ও বঙ্গবন্ধুর বই উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়। সর্বশেষ পথশিশুসহ উপস্থিত সবার মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়।
আলোচনা সভায় যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনুদ্দিন রানা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে আমরা যুবলীগ রাজপথে থাকব। যেকোনো লড়াই সংগ্রামে যুবলীগ সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবে।’
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে এই বাংলায় কোনো ধরনের কোনো বিশৃঙ্খলা হবে না। কোনো ধরনের অপকর্ম হবে না। যদি কেউ বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে, তাহলে যুবলীগ কঠোরভাবে প্রতিরোধ করবে।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু বলেন, বাঙালি জাতির কাছে আদর্শ প্রিয় নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। সারা জীবন এ দেশের মাটি ও মানুষের অধিকার আদায় ও কল্যাণের জন্য সংগ্রাম করেছেন বঙ্গবন্ধু। বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য জীবনের ১৪টি বছর পাকিস্তানি কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে বন্দি থেকেছেন, বহুবার ফাঁসির মঞ্চে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন। কিন্তু আত্মমর্যাদা ও বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের প্রশ্নে কখনো মাথা নত করেননি বাংলার এই মৃত্যুঞ্জয়ী নেতা।
অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতি সোহরাব হোসেন স্বপন, সারোয়ার হোসেন মনা, মোরসালিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বকুল, প্রচার সম্পাদক আরমান হক বাবু, আইন সম্পাদক শাহনাজ পারভীন হিরা, সমবায় সম্পাদক বোরহান উদ্দিন চৌধুরী টোটন, সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাউসার হক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সোহেল রানা, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হাজি সারোয়ার হোসেন স্বপন, ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জাবের হোসেন পাপন, ৬৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ইমরান হোসেন, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেনসহ মহানগর যুবলীগের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।