পুরোদমে চলছে একুশে বইমেলার স্টল তৈরির কাজ
করোনা সংকটের কারণে বাংলা একাডেমি আয়োজিত গত দুই বারের বইমেলা প্রচলিত ও নির্ধারিত সময়ে না হলেও এবারের 'অমর একুশে বইমেলা-২০২৩' নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) শুরু হয়ে ৩৯তম এ বইমেলা চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) পর্যন্ত। এ উপলক্ষে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পুরোদমে চলছে বইমেলার স্টল তৈরির কাজ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চলতি মাসের মাঝের দিক থেকে শুরু হওয়া স্টল তৈরির কাজ এখনো চলছে। প্রতিটি স্টল মালিক তাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে স্টলগুলোকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছেন। এতে কোনো কোনো স্টলের নিচের দিকে ইট, বালি, সিমেন্ট দিয়ে পাকা করে উপরের দিকে বাঁশ, কাঠ ও টিন অথবা স্টিল ব্যবহার করা হচ্ছে। আবার কোনোটাতে পাকা না করে শুধু বাঁশ, কাঠ, টিন ও বোর্ড ব্যবহার করে সাজানো হচ্ছে। এজন্য প্রতি মুহূর্তেই নির্মাণ শ্রমিকদের হাতুড়ির ঠুকঠাক শব্দে মুখরিত হচ্ছে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
এছাড়া স্টলগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে নানা রঙে মিশ্রিত হরেক রকমের আল্পনা। ১লা ফেব্রুয়ারি বইমেলা উদ্বোধন করার কথা থাকার কারণে আগামী ৩১ জানুয়ারির আগেই শেষ করতে হচ্ছে এ কাজ। এজন্য শ্রমিকরা দিন-রাত স্টল নির্মাণের কাজ করছেন।
স্টল তৈরিতে কর্মরত জাহিদ নামে একজন শ্রমিক বলেন, 'আমরা দিনেও কাজ করছি, রাতেও করছি। একটু তাড়াতাড়ি শেষ করার চেষ্টা করছি। কারণ, জানুয়ারির ৩০ তারিখের আগেই শেষ করতে হবে এই কাজ। মূল কাঠামোর কাজ শেষ করার পর ডেকোরেশন বা নকশা করা এবং বই এনে সাজানোসহ আরও অনেক কাজ করতে হবে।'
একটি প্রকাশনীর স্টল নির্মাণের তত্ত্বাবধানকারী বলেন, 'শ্রমিকরা মন দিয়ে কাজ করছেন। আশা করি, আমাদের সব কাজ ৩০ তারিখের আগেই শেষ হবে। আর আমরা এবারের স্টলের নকশায় একটু ভিন্নতা আনতে চেষ্টা করছি।'
জানা গেছে, বইমেলা প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং ছুটির দিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে শুক্রবার বেলা ১টা থেকে বেলা ৩টা ও শনিবার বেলা ১টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত বিরতি থাকবে।
এবারের বইমেলার মূল প্রতিপাদ্য হলো - 'পড় বই-গড় দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ'। বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্ত্বা বিকাশের লক্ষ্যে 'পড় বই-গড় দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ' প্রতিপাদ্য বিধায় বইমেলার সামগ্রিক সৌন্দর্য, বিন্যাস ও প্রকাশনায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন এবং স্বাধীনতার চেতনা সমুন্নত রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন থাকতে হবে বলে জানিয়েছে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ।