পুলিশের গুলিতে হতাহতের দায় সরকারকে নিতে হবে : জি এম কাদের
সাম্প্রতিক সময়ে সহিংসতা, সংঘাত ও প্রাণহানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে পুলিশের গুলিতে যে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, এর দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।
আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেন বিরোধী দলীয় এই উপনেতা।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে যদি কোনো মহলের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়, এর মীমাংসা রক্তাক্ত পথে হতে পারে না। সরকারের নীতি, কর্মকাণ্ড এবং আচরণের বিরুদ্ধে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ের আন্দোলনে এরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এ কয়েকদিনের বিক্ষোভে বিপুল সংখ্যক হতাহতের ঘটনা ঘটে গেছে। এটি অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্ক্ষিত এবং নিন্দনীয়।’
সরকারের উদ্দেশে জি এম কাদের বলেন, ‘অনতিবিলম্বে চলমান বিরোধ ও সংঘাতময় পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে হবে। গত কয়েক দিনের ঘটনায় যারা নিহত বা আহত হয়েছেন তাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সরকারকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, দমন-পীড়নে সংকট আরও ঘনীভূত হয়। আশা প্রকাশ করি, সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় মুসল্লিদের সঙ্গে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে চট্টগ্রাম হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্ররাও বিক্ষোভ করে। সেখানে পুলিশের গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়। একই ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও আন্দোলনে নামেন হেফাজতের নেতাকর্মীরা সেখানেও একজনের মৃত্যু হয়।
এসব ঘটনায় শনিবার বিক্ষোভ ও রোববার হরতাল পালন করে হেফাজতে ইসলাম। সব মিলিয়ে হেফাজতের এ আন্দোলনকে ঘিরে তাদের ১৭ নেতাকর্মী নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা।