পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, কয়েকজন মিছিলকারী আটক
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার চলছে বিএনপি ও তাদের সমমনা ৩২ দলের গণমিছিল। বিভিন্ন এলাকার এই মিছিল থেকে আটক হয়েছে বেশ কয়েকজন। পুরানা পল্টন, মতিঝিল ও মগবাজার এলাকার মিছিল থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। পুলিশের দাবি—তাদের ওপর হামলা চালালে আটক করা হয়। এদিকে, বায়তুল মোকাররমের বিপরীতে একটি গলিতে ব্যানার ছাড়াই কয়েকজন স্লোগান দিয়ে মিছিল করলে পুলিশ শর্টগানের গুলি ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময়ও বেশ কয়েকজন আটক হয়।
রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকার সুরমা টাওয়ারের গলি থেকে স্লোগান দেওয়ার সময় বিএনপির তিন কর্মীকে আটক করেছে রমনা থানা পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুরে তাদের আটক করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বিকেল চারটার দিকে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাউদ্দিন মিয়া এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘বাইতুল মোকাররমের বিপরীত পাশের সুরমা টাওয়ারের গলিতে বিএনপির নেতাকর্মীরা স্লোগান দিচ্ছিলেন।’
জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররমের বিপরীত পাশের একটি গলিতে ব্যানার ছাড়াই কয়েকজন স্লোগান দিয়ে মিছিল করছিল। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে শর্টগানের গুলি ছোড়ে। এ সময় কয়েকজনকে আটক করতে দেখা গেছে।
পল্টন থানার ওসি সালাউদ্দিন মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘সুরমা টাওয়ারের সামনে স্লোগান দিয়ে মিছিল বের করা হয়। সে সময় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে। তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এখনও তাদের পরিচয় জানা যায়নি। তারা কারা, তা জানার চেষ্টা করছে। তখন পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।’
অন্যদিকে, রাজধানীর মালিবাগ, পল্টন ও মতিঝিল এলাকায় পুলিশের সঙ্গে জামায়াতের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশ কয়েকজনকে আটক করেছে। পুলিশের দাবি, জামায়াতের নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।
রাজধানীর মালিবাগে জামায়াতের একটি মিছিলে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়েছে। সেখানে পুলিশ আগে থেকে অবস্থান নিয়ে ছিল। জুমার নামাজের পর কিছু লোক মিছিল শুরু করে। পরে পুলিশ বাধা দিলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ বলছে, এটি জামায়াত শিবিরের মিছিল ছিল। এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. শহীদুল্লাহ বলেন, আমাদের ধারণা, জামায়াতের লোকজন মিছিলের নামে পুলিশকে আক্রমণ করে। পরে পুলিশও আত্মরক্ষার জন্য তাদের ধাওয়া দেয়। কয়েকটি স্থান থেকে কয়েকজন মিছিলকারীকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।