পেঁয়াজের এমন দাম বৃদ্ধি কাম্য নয় : ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক
পেঁয়াজের এমন দাম বৃদ্ধি কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেছেন, এক মাসের মধ্যে পেঁয়াজের এমন দাম বৃদ্ধি অস্বাভাবিক।’ আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মে) চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ডিজি এই মন্তব্য করেন।
মতবিনিময় সভায় ভোক্তার ডিজি বলেন, ‘অনেকেই বলেন, করপোরেট লোকজন সিন্ডিকেট করছে। কিন্তু এর সঙ্গে অনেক লোক জড়িত। পাবনা-ফরিদপুর অঞ্চলে হাজার হাজার কৃষক পেঁয়াজ বিক্রি করছে। যখনই খবর পাচ্ছে ভারতে বৃষ্টি হয়েছে, অমনি দাম বেড়ে যাচ্ছে। যখনই ভারত রপ্তানি বন্ধ করছে, বাংলাদেশে দাম বেড়ে যাচ্ছে। এটা কাম্য নয়।’
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, 'এ বছরে পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। গত বছর যেখানে কেজিপ্রতি উৎপাদন খরচ ছিল ২২ টাকা, সেখানে এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ২৮ টাকা। জমি থেকে সাধারণত মার্চ-এপ্রিল মাসে পেঁয়াজ ওঠে। রমজান মাসে পেঁয়াজের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৫০ টাকা, যা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ছিল। হঠাৎ করেই পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির এই আচরণ কাম্য নয়। দেশে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির পরপরই ভারত থেকে কিছু পেঁয়াজ আমদানি শুরু করলেই দেশে দাম কমে যায়। এ বিষয়ে খুব শিগগিরই সিদ্ধান্ত আসছে।’
মতবিনিময় সভায় সফিকুজ্জামান আরও বলেন, ‘অসাধু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যে যুদ্ধ আমাদের চলছে, তা চলমান থাকবে। এ ছাড়া বিদেশ থেকে যে চোরাই পথে টাকা আসছে, তা নিয়েও অভিযান চলবে।’ তিনি বলেন, ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কার্যালয়ে গত বছর মোট ৯ হাজার অভিযোগ পড়েছিল, কিন্তু চলতি বছর তা বেড়ে প্রায় ৩৩ হাজার হয়েছে।'
ভোক্তা অধিকারের ডিজি বলেন, 'ভোক্তার এতগুলো অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে আরও জনবল প্রয়োজন। সারা দেশে মাত্র ৮৮ জন কর্মকর্তা রয়েছে। যারা হেডকোয়ার্টার, বিভাগীয় কার্যালয় ও জেলা কার্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন।’
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াতের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহমেদ, সোনামসজিদ স্থলবন্দর পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ম্যানেজার মাইনুল ইসলামসহ আমদানি-রপ্তানিকারক, স্থলবন্দর ব্যবসা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।