পেপারবুক তৈরি, শিগগিরই আপিল শুনানি
বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনার ১৪ বছর পর ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালতে প্রথম রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। এ মামলার রায়ের দুই বছর পার হয়েছে। রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য হাইকোর্টে অপেক্ষমাণ রয়েছে। দ্রুত এ মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
স্পর্শকাতর ও চাঞ্চল্যকর এ মামলার পেপারবুক সরকারি ছাপাখানায় (বিজি প্রেস) মুদ্রণের পর গত ১৬ আগস্ট হাইকোর্টে পাঠানো হয়। দুটি মামলায় প্রায় ২২ হাজার পৃষ্ঠার পেপারবুক হাতে পাওয়ার পর মামলাটি (ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল) হাইকোর্টে শুনানির জন্য প্রস্তুত করার কাজ শুরু করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট শাখা।
মামলা শুনানির জন্য প্রস্তুত হলেই নিয়ম অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি একটি বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন। কারণ কোন মামলা কোন বেঞ্চে শুনানি হবে, তা নির্ধারণ করা প্রধান বিচারপতির প্রশাসনিক এখতিয়ার।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন গত বুধবার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারিক আদালতের রায় বিষয়ে আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানি উচ্চ আদালতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হবে। করোনা পরিস্থিতিতে আদালত বন্ধ থাকায় শুনানি হয়নি। তবে আশা করি খুব শিগগিরই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানির আবেদন করা হবে, যেন শুনানির জন্য একটি বেঞ্চে পাঠানো হয়। বিচারিক আদালত আসামিদের যে সাজার রায় প্রদান করেছেন, তা যেন বহাল থাকে, উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের সে প্রচেষ্টা থাকবে বলেও জানান তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেছেন, ‘২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মামলার পেপারবুক তৈরি হয়েছে। ২১ আগস্টের ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় ১৩ ভলিউমে মোট ৫৮৫টি পেপারে বুক এসেছে, যা সাড়ে ১০ হাজার পৃষ্ঠা। মোট আপিল ২২টি ও জেল আপিল ১২টি। আরও কিছু আনুষঙ্গিক কাজ বাকি রয়েছে; এসব কাজ শেষ হলেই বেঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।’
‘অভিন্ন অভিপ্রায়ে পরিকল্পনা ও হত্যা’
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে দলটির সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। ওই নৃশংস হামলায় ২৪ জন নিহত ও নেতাকর্মী-আইনজীবী-সাংবাদিকসহ পাঁচ শতাধিক লোক আহত হয়। নিহতদের মধ্যে ছিলেন আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমান।
তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের প্রথম সারির অনেক নেতা এই গ্রেনেড হামলা থেকে বেঁচে যান। এতে অল্পের জন্য শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও গ্রেনেডের প্রচণ্ড শব্দে তাঁর শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। ৪৯ আসামির মধ্যে বাকি ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। রায়ে আসামিদের সাজা কারাবাসের সময় থেকে বাদ যাবে এবং যেসব আসামি দুই মামলায় সাজা পেয়েছেন তাদের একযোগে দণ্ড কার্যকর হবে।
পর্যবেক্ষণ ও বিবেচ্য বিষয় পড়া শেষে বিচারক যখন মূল রায় পড়া শুরু করেন তখন তিনি প্রথমেই ফাঁসির আসামিদের নাম ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘অভিন্ন অভিপ্রায়ে পরিকল্পনা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৩০২/১২০-এর (খ)/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হলো এবং মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো।’
যে ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া ১৯ আসামি হলেন লুৎফুজ্জামান বাবর, মাওলানা তাজউদ্দিন (পলাতক), শেখ আবদুস সালাম, মো. আবদুল মাজেদ ভাট ওরফে ইউসুফ ভাট, আবদুল মালেক ওরফে গোলাম মোহাম্মদ ওরফে জিএম, মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মহিব্বুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে অভি, মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডাক্তার জাফর, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, হোসাইন আহমেদ তামিম, মাইন উদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মাইন ওরফে খাজা ওরফে আবু জানদাল ওরফে মাসুম বিল্লাহ, রফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ ওরফে খালিদ সাইফুল্লাহ ওরফে শামিম ওরফে রাশেদ, মো. উজ্জ্বল ওরফে রতন, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, ডিজিএফআইর সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তখনকার মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম (কাশিমপুর কারাগারে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ১৫ আগস্ট মৃত) ও হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ হানিফ (পলাতক)। আদালত তাদের সবাইকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করেন।
যে ১৯ জনের যাবজ্জীবন
ফাঁসির আসামিদের নাম ঘোষণার পর বিচারক যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন। এ সময় বিচারক বলেন, ‘অভিন্ন অভিপ্রায়ে পরিকল্পনা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে গুরুতর জখম করার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৩০৭/১২০ এর (খ)/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ঘোষণা করা হলো।’
১৯ যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি হলেন তারেক রহমান (পলাতক), কুমিল্লার সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন কায়কোবাদ (পলাতক), শাহাদাত উল্লাহ জুয়েল, মাওলানা আবদুর রউফ ওরফে আবু ওমর আবু হোমায়রা ওরফে পীর সাহেব, মাওলানা সাব্বির আহমেদ ওরফে আবদুল হান্নান সাব্বির, আরিফ হাসান ওরফে সুমন ওরফে আবদুর রাজ্জাক, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক কমিশনার আরিফুল ইসলাম আরিফ, আবু বকর সিদ্দিক ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, আনিসুল মোর্সালীন (পলাতক), মুহিবুল মুক্তাকীন (পলাতক), খলিলুর রহমান খলিল (পলাতক), জাহাঙ্গীর আলম ওরফে বদর (পলাতক), মো. ইকবাল (পলাতক), মাওলানা লিটন ওরফে জোবায়ের ওরফে দেলোয়ার (পলাতক), হারিছ চৌধুরী (পলাতক), বাবু ওরফে রাতুল বাবু (পলাতক), শফিকুর রহমান (পলাতক), মুফতি আবদুল হাই (পলাতক)। আদালত তাদের সবাইকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।
বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড যাদের
এরপর বাকি ১১ আসামির বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ঘোষণা করেন বিচারক। তিনি বলেন, ‘দণ্ডবিধির ২১৭ ধারায় দুই বছর এবং ২১৮ ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলো। পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) খোদা বক্স চৌধুরী, সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (অব.) রুহুল আমিন, এএসপি (অব.) আবদুর রশিদ ও এএসপি (অব.) মুন্সি আতিকুর রহমানকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।’
এ ছাড়া বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, আইজিপি আশরাফুল হুদা, আইজিপি শহুদুল হক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ টি এম আমিন (আমেরিকায় পলাতক), লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম জোয়ারদার (পলাতক), ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (পূর্ব) ওবায়দুর রহমান (পলাতক) ও ডিএমপির উপকমিশনার (দক্ষিণ) খান সাঈদ হাসানকে (পলাতক) দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এই মামলায় মোট আসামি ছিলেন ৫২ জন। এর মধ্যে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড অন্য মামলায় কার্যকর হওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। বাকি ৪৯ জনের বিচারের রায় হয়। আসামিদের মধ্যে তারেক রহমানসহ ১৮ আসামি পলাতক রয়েছেন। বাকি ৩১ জনের সবাই রায় ঘোষণার দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে দণ্ডাদেশ কার্যকর হবে। অপরদিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা রায়ের দিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে আপিল করতে পারবেন। এ মামলার জব্দকৃত আলামত-পরবর্তী সময়ের নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সংরক্ষণ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
অন্য মামলায় তিনজনের ফাঁসি
২১ আগস্টের ঘটনায় পৃথক মামলায় মোট আসামি ৫২ জন। এর মধ্যে তিন আসামির অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় তাদের মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়। তারা হলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, মুফতি আবদুল হান্নান ও শরীফ শাহেদুল আলম বিপুল।
আলোচিত জজ মিয়া
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার তদন্তের এক আলোচিত অধ্যায় জজ মিয়া। ২০০৫ সালের ৯ জুন গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগের একটি চায়ের দোকান থেকে তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় সেনবাগ থানায়। ঢাকা থেকে সিআইডির অনুরোধ পেয়ে সেনবাগ থানা পুলিশ জজ মিয়াকে গ্রেপ্তারের জন্য সোর্স নিয়োগ করে। পরে ৯ জুন জজ মিয়াকে আটক করে থানায় খবর দেয়। এরপর পুলিশ তাকে সেখান থেকে থানায় নিয়ে আসে। ১৫ দিন সিআইডি পুলিশের হেফাজতে থাকার পর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর গ্রেনেড হামলার মামলায় তিনি ‘স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি’ দিয়েছেন বলে জানায় পুলিশ। পরে এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয় যখন গণমাধ্যমে ফাঁস হয় যে, জজ মিয়ার বিষয়টি পুলিশের সাজানো। আসামি করার বদৌলতে তার পরিবারকে টাকা দেওয়ার বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে। এরপর নানা ঘটনাপ্রবাহ শেষে ২০০৮ সালে জজ মিয়াকে আসামির তালিকা থেকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র জমা দেয় সিআইডি। পরে আদালত এ মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেন। ২০০৯ সালে মুক্তি পান জজ মিয়া।
২০১১ সালে সম্পূরক অভিযোগপত্রে তারেক-বাবর
গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০১১ সালের ৩ জুলাই সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি। সেদিন বিশেষ নিরাপত্তার মধ্যে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা-সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম মাওলা। দুটি পৃথক ট্রাঙ্কে ভর্তি করে আনা অভিযোগপত্রে নতুন করে ৩০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এর আগের অভিযোগপত্রে ২২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। নতুনভাবে তালিকাভুক্ত অভিযুক্তদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন বিএনপি নেতা তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ প্রমুখ।