পোশাকের সঙ্গে পুড়েছে দোকানিদের স্বপ্নও
শফিক গার্মেন্টসের মালিকের নাম মোহাম্মদ শফিক। তিনি নিউ সুপার মার্কেটে প্যান্টের ব্যবসা করেন। দোকানে প্যান্ট ছিল ১০ লাখ টাকার মতো। বস্তা তিনেক পোশাক বের করলেও দোকানে থেকে গেছে অধিকাংশ পোশাক। আজ শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে ফুটওভারব্রিজের ওপর বের করা ওই বস্তায় বসে ছিলেন শফিক।
মোহাম্মদ শফিক বলেন, ‘আমার সব স্বপ্ন পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে। আমার সব শেষ। আমার যা পুঁজি ছিল, ঈদের সময় তা দিয়ে মাল তুলেছি। আমার ১০ লাখ টাকার প্যান্ট পুড়ে গেছে। আমার আর কোনো পুঁজি নেই।’
শুধু শফিক নয়, এমন আরও অনেক ব্যবসায়ীর স্বপ্ন পুড়ে ছারখার।
শাহীন আহমেদ নামের আরেক দোকানি বলছিলেন, ‘আমার দোকানে নগদ চার লাখ টাকা ছিল। গতকাল যা বেচাকেনা করেছি, সব ছিল। এখনও জানি না দোকানের কী অবস্থা। সব পুড়ে গেছে না কি এখনও কিছু পুড়তে বাকি আছে, কিছুই জানি না।’
শাহীন বলেন, ‘কত স্বপ্ন ছিল, দোতলা একটা বাড়ি বানাব। আমার গ্রামে বাড়ি বানানো শুরু করেছি কেবল। আর আগাব কীভাবে? আমার সব টাকা শেষ। দোকানে মাল আছে ১৫ লাখ টাকার। ঋণ নিয়েছি ৫ লাখ। ঈদের মাল তুলেছি। আমি এখন কী করব?’
শরিফুল ইসলাম নামের এক দোকানি সুপার মার্কেটের সামনে বসে আছেন। অপেক্ষায় আছেন, কখন ভেতরে ঢুকতে পারবেন। তার একটি পাঞ্জাবির দোকান আছে ভেতরে। শরিফুল বলছিলেন, ‘আমার সব শেষ হয়ে গেছে। কিচ্ছু নেই। সব পুড়ে গেছে। আমার সারা জীবনে আশা-ভরসা-স্বপ্ন শেষ। আমি আর উঠে দাঁড়াব কীভাবে?’