পৌর মেয়রের নামে মামলা পর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে এলাকাছাড়া করার অভিযোগ
কক্সবাজারের মহেশখালী পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে চিংড়ি ঘের দখল ও ডাকাতি লুটপাটের মামলা করায় এক মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে গ্রামছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধারা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১৯ অক্টোবর রাতে মহেশখালী পৌর মেয়র মকসুদ মিয়ার নির্দেশে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আমজাদ হোসেন ও তার পরিবারের ৬৭ একর বিশিষ্ট একটি চিংড়ি ঘের দখল করে নেয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা চিংড়ি ঘেরের পরিচালক এবং কর্মচারীদের কুপিয়ে ও গুলি চালিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তারা চিংড়ি ঘেরের কয়েক লাখ টাকার চিংড়ি মাছ, লবণ ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে আদালতে মেয়র মকসুদ মিয়াসহ তার লোকজনদের বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন। এরপর আদালতের নির্দেশে মহেশখালী থানার পুলিশ গত ২৫ অক্টোবর মামলাটি নথিভুক্ত করে।
সাংবাদিক সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন অভিযোগ করেন, মামলার পর থেকে মেয়র মকসুদ মিয়া ও তার লোকজনের হুমকিতে তিনি ও তার পরিবার এলাকা ছেড়ে কক্সবাজার শহরে এসে আশ্রয় নিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কক্সবাজার জেলার মহেশখালীতে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধী ট্রাইব্যুনালে করা একমাত্র মামলার এক নম্বর আসামি মৌলানা জাকারিয়া পরিবারের সন্তান মকসুদ মিয়া। তিনি এখন জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য। প্রভাবশালী পরিবার হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন ও তার পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ভুক্তভোগী মহেশখালী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আমজাদ হোসেন, কক্সবাজার জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার মোহাম্মদ মাসুদ কুতুবী, মুক্তিযোদ্ধা হাজি বশিরুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হক, আবুল কাশেম প্রমুখ।