প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও শিশু শিক্ষার সফটওয়্যার বানিয়েছি : টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তরের চেয়ে ভালো কাজ হতে পারে না। শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তরে ১৯৮৭ সাল থেকে দীর্ঘ পথচলায় নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েও শিশু শিক্ষার জন্য সফটওয়্যার বানিয়েছি।
আজ শনিবার রাজধানীর টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য আয়োজিত দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় মোস্তাফা জব্বার এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি তহবিল থেকে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চাশটি শ্রেণি কক্ষ ডিজিটাইজ করার লক্ষ্যে প্রতিটি শ্রেণিকক্ষের জন্য একটি করে মাল্টিমিডিয়া এনড্রয়েড টিভি, একটি করে ট্যাব, ডিজিটাল কন্টেন্ট প্রদান করা হয়।
এরআগে বিটিআরসির সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল থেকে দেশের দুর্গম অঞ্চলের ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
মোস্তফা জব্বার বলেন, শিক্ষায় কম্পিউটার ব্যবহার ধারণাটা আমার আবিস্কার নয়। ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে কম্পিউটার ব্যবহার করে পাঠদান করাটি আমাকে দেখায়। সেই ধারণাকে বাস্তবায়ন করার বড় চ্যালেঞ্জ ছিল আমাদের পাঠ্যবইকে ডিজিটাল উপাত্তে রূপান্তর করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সাল থেকে গত তের বছরে হাঁটি হাঁটি পা পা করে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যক্রম ডিজিটালে রূপান্তরে সক্ষম হয়েছি। বিশ্বে এ ধরনের ডিজিটাল উপাত্ত তৈরি করা এটাই প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, করোনাকালে ডিজিটাল প্রযুক্তির সুফল কাজে লাগিয়ে দেশের মানুষের জীবনযাত্রা সচল রাখতে সরকার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, ‘আগামী সভ্যতা গড়ে উঠবে ডিজিটাল সংযুক্তির ওপর। প্রচলিত শিক্ষা ডিজিটাল শিক্ষায় রূপান্তর না হলে কঠিন চ্যালেঞ্জ আমাদেরকে মোকাবেলা করতে হবে।’