প্রতি বাড়িতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছান হবে : টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রতিটি বাড়িতে দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া হবে। গত ১৩ বছরে ইন্টারনেটের চাহিদা সাড়ে সাত জিবিপিএস থেকে প্রায় ৩৩০০ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে। ইন্টারনেট এখন মানুষের লাইফলাইন হিসেবে কাজ করছে।
গতকাল বুধবার রাতে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আইএসপিএবি’র নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান। এর আগে মন্ত্রী নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
মন্ত্রী ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার, বাংলাদেশ-আইএসপিএবিকে যথাযথ ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
আইএসপিএবি’র নবনির্বাচিত সভাপতি এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার এবং আইএসপিএবির সেক্রেটারি নাজমুল কবির ভূইয়া বক্তব্য দেন।
মন্ত্রী ডিজিটাল সংযুক্তিখাতে আইএসপিএবিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ট্রেডবডি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, গত দুই বছর কোভিডকালে ডিজিটাল সংযুক্তি ছিল বলেই বাংলাদেশ অতিমারির ভয়াবহতা সফলভাবে মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে। এই ক্ষেত্রে আইএসপিএবি ডিজিটাল সংযুক্তি সচল ও কোন কোন ক্ষেত্রে তা সম্প্রসারণে যে ভূমিকা রেখেছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয়তা জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে এখন প্রায় অপরিহার্য উল্লেখ করে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ক ট্রেডবডি বিসিএস ও বেসিসের সাবেক সভাপতি মোস্তাফা জব্বার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন কর্মসূচিকে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার সোপান বলে উল্লেখ করেন। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তিখাতের ট্রেডবডি সমূহকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করতে হবে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছর পিছিয়ে থেকেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ ফাইভ-জি প্রযুক্তিতে সারা পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়ে চলছে। এ মাসেই ফাইভ-জি তরঙ্গ নিলাম হবে।
ডিজিটাল কর্মসূচির ফলে ডিজিটাল অবকাঠামোখাতে বাংলাদেশ বিস্ময়কর সফলতার স্বাক্ষর রেখেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে দেশে সাড়ে সাত জিবিপিএস ডাটা ব্যবহৃত হতো। এখন তা প্রায় ৩৩শ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে। এই সময়ে দেশে সাড়ে সাত লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করত, বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটি। ডিজিটাল অবকাঠামো তৈরিতে আইএসপিএবিকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করতে মন্ত্রী দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা–আইসিটি পরিবারের সদস্যদেরই অগ্রযাত্রা।
অনুষ্ঠানে মনোরম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। পরে মন্ত্রী রাত ১২টা ১ মিনিটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটেন।