‘প্রধানমন্ত্রীর শততম জন্মদিন পালন করা’ তথ্যমন্ত্রীর প্রার্থনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের জন্মদিনটি তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আজকের দিনে প্রার্থনা করি যেন আমরা তাঁর শততম জন্মদিন পালন করতে পারি এবং ওই দিন পর্যন্ত যেন আমি বেঁচে থাকি।
আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে পিআইডি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্য অধিদপ্তর সংকলিত ‘আলোকচিত্র অ্যালবাম’-এর মোড়ক উন্মোচনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন তিনি। প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সংগ্রামী উপাখ্যানের নাম, এক জীবন্ত কিংবদন্তির নাম। তাঁর নেতৃত্বেই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং অর্থনৈতিক মুক্তি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথে আমরা বহুদূর এগিয়ে গেছি। তাঁর নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে মর্যাদাপূর্ণ একটি রাষ্ট্র।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন। আমি কিছুদিন তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমি দেখেছি, তিনি নিজের ঘরে জন্মদিন পালন করেন না। কেক কাটেন না। কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে তাতে যেতে চান না। তাই তাঁকে না জানিয়েই আমরা দলের পক্ষ থেকে তাঁর জন্মদিন পালন করি।’
এবারের জন্মদিনটি তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের দিনে প্রার্থনা করি যেন আমরা তাঁর (শেখ হাসিনা) শততম জন্মদিন পালন করতে পারি এবং ওই দিন পর্যন্ত যেন আমি বেঁচে থাকি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন ছোটবেলা থেকে সংগ্রামী বলে উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, তাঁর ছোটবেলায় বঙ্গবন্ধু বেশিরভাগ ছিলেন জেলে। যে কারণে সব সময় তিনি বাবাকে কাছে পাননি। তাঁর বিয়ের সময় বঙ্গবন্ধু ছিলেন জেলে। সন্তান হওয়ার সময় ফাঁসির মঞ্চে। রাজনীতির কারণে বাবাকে তিনি ও তাঁর অন্য ভাই-বোনেরাও সেভাবে কাছে পাননি।
শেখ হাসিনাকে গণতন্ত্রের মানসকন্যা অভিহিত করে হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে এখন কুঁড়েঘর খুঁজে পাওয়া যায় না, ছেঁড়া কাপড় পরা মানুষ দেখা যায় না, মানুষ খালি পায়ে থাকে না। তাঁর নেতৃত্বে দেশে ৪০ শতাংশ থেকে দারিদ্র্য ২০ শতাংশে নেমেছে। দেশ বদলে গেছে, আকাশ থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম চেনা যায় না। এটা কোনো জাদুর কারণে নয়, এটা শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বের কারণে বদলেছে। আমাদের কামনা, তিনি অব্যাহতভাবে এইভাবে নেতৃত্ব দিয়ে যান এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন যাতে বাস্তবায়ন করতে পারেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন বলেন, এবারও আমরা প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালনের উদ্যোগ নিয়েছি। সংবাদপত্র, বিটিভি, বেতারের আয়োজনসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে তিনদিনব্যাপী মোট ১৪টি অনুষ্ঠান হবে।
সচিব মকবুল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুহত্যার পর বাংলাদেশের মানুষ নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়েছিল কিন্তু ১৯৮১ সালে প্রধানমন্ত্রী ফিরে এসে দলের সভাপতি হওয়ার পরে সে শূন্যতা পূরণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আজ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ বিশেষ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত।