প্রধানমন্ত্রী ছেলেমেয়েদের মাটির ঘরে পড়াতে চান না : খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন আর ছেলেমেয়েদের মাটির ঘরে পড়াতে চায় না। তাই বিভিন্ন স্কুল-কলেজ বিল্ডিং করে দিচ্ছে।
আজ শনিবার বিকেলে নওগাঁর নিয়ামতপুরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষে শিক্ষাবৃত্তি, শিক্ষা উপকরণ ও বাইসাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনা এক অনন্য নাম। শেখ হাসিনা মানেই উন্নয়ন। তাই গ্রামগঞ্জের কাঁচা রাস্তাঘাট পাকা করা হচ্ছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে। বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, ভিজিডি কার্ড এবং বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হচ্ছে। এখন কাউকে আর না খেয়ে থাকতে হয় না। কেউ পান্তা ভাত খায় না। আর এসব কিছুই সম্ভব হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারণে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আজকে আমরা তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ থেকে সবগুলো সূচক পেরিয়ে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছি।’
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর উদ্দেশ্য খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার। ২০০৮ সালের আগে কোনো সরকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবন-মান উন্নয়নে কাজ করে নাই। যা বর্তমান সরকার করে যাচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা আলাদা মন্ত্রণালয়ের গঠনের জন্য বিভিন্ন মিছিল-মিটিং করেছে। বিভিন্ন এনজিওর দ্বারা প্রতারিত হয়েছে। কিন্তু তাদের পক্ষে কেউ কোনো কাজ করে নাই। তাই তাদের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কার্যালয়ে আলাদা একটি সেল গঠন করেছে। তাই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ছেলেমেয়েদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবে। এছাড়া এই মুজিববর্ষে গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় তাদের জন্য আলাদা ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। যাতে করে কেউ গৃহহীন না থাকে।’
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘মার্চ হচ্ছে অগ্নিঝরা মাস। এ মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন। এ মাসেই তাঁর জন্ম হয়েছিল। তাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে করোনার মধ্যেও মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট, শ্রীলংকা, ভুটান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ছুটে আসছেন। শেখ হাসিনার সঙ্গে যে সম্পর্ক, কূটনৈতিক, রাজনৈতিক, উন্নয়নের যে সম্পর্ক এটা অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত রয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে মর্যাদা দিয়ে এ দেশে তারা আসছেন।’
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়া মারিয়া পেরেরার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাদিরা বেগম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।